Kolkata Bagri Market Fire...এখন চলছে এলাকা 'ঠাণ্ডা' করার প্রক্রিয়া।
হাইলাইটস
- অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এলো বাগরি মার্কেটের আগুন
- পুলিশ ডেকে পাঠালো বাগরি মার্কেটের মালিকদের
- আগুন নেভাতে সময় লাগল দু'দিনের বেশি
কলকাতা: অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল বাগরি মার্কেটের আগুন(Kolkata Bagri Market Fire)। বড়বাজারের ব্যবসা পট্টির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগল দু’দিনেরও বেশি। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ওই মার্কেটটির কর্তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। “বড়বাজার থানায় বাগরি মার্কেটের মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের দমকল আইন এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারাতেই করা হয়েছে এফআইআর”। ডিজি ফায়ার জগমোহন বলেন, আগুন নিভে গেলেও এখন ‘ঠাণ্ডা’ করার প্রক্রিয়া চলছে। পনেরোটি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করছে তার জন্য। “আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে, ভবনটির কয়েকটি জায়গায় এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন আমাদের কর্মীরা। যেহেতু এলাকা ‘ঠাণ্ডা’ করার কাজ চলছে এখন, তাই লড়াই জারি থাকবে আমাদের”, বলেন জগমোহন।
বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ড; কেউ আটকে নেই, কোনও হতাহত নেই বাগরি মার্কেটে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
দমকলের অন্য এক পদস্থ কর্তা বলেন, বাগরি মার্কেটের দেওয়ালে কয়েকটা ফাটল দেখা গিয়েছে। তা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাঁদের কপালে। ভবিষ্যতে যাতে ওখানে আবার এমন ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে আগে থেকেই কড়া ও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে দমকল।
“বাগরি মার্কেটের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বোঝার পরেই ওই মার্কেটের পাশের বহুতলগুলোতে থাকা দোকানদার এবং বহুতলগুলোর বাসিন্দাদের আমরা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কোনওরকম সুযোগ নিতে চাই না আমরা”, বলেন ওই কর্তা।
অগ্নিকাণ্ডে বিরোধীরা তুলোধনা করল সরকারকে
ওই এলাকায় জলের প্রবল অভাবের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এতটাই যে, দমকলকর্মীদের জলের জন্য কাছের একটি রিজার্ভারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল।
বাগরি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে যাওয়ার ফলে এক হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ীর কপাল আক্ষরিক অর্থেই পুড়েছে পুজোর ঠিক আগে আগে। নষ্ট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার জিনিস।
দুই দিন বাদে নিয়ন্ত্রণে এল বাগরি মার্কেটের আগুন
রাজ্য সরকার এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ ও দমকলকে।
এছাড়া, ওই বহুতলের মালিকদেরও ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
এই ঘটনায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের। তারা সেটা না পারলে সরকারকে জানাক। সরকার দেখে নেবে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)