This Article is From Oct 08, 2019

দুর্গাপুজোয় কেন বাজবে আজান? বেলেঘাটার পুজো নিয়ে প্রশ্ন তুলল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ

পুজোর আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, এবছর কমিটি দ্বারা নির্বাচিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ থিমকে মাথায় রেখেই ওই আজান ব্যবহৃত হয়েছে মণ্ডপে

দুর্গাপুজোয় কেন বাজবে আজান? বেলেঘাটার পুজো নিয়ে প্রশ্ন তুলল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে যে তারা এখনও কোনও অভিযোগ পাননি। (প্রতীকী)

কলকাতা:

কেন দুর্গাপুজোয় আজান (Azaan) বাজবে? কলকাতায় দুর্গাপুজোর আবহে এই নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল তর্ক। বেলেঘাটার একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপে থিম সঙ্গীত হিসেবে কেন সংস্কৃত স্তবকের সঙ্গে আজান বাজানো হয়েছে এই নিয়ে বিতর্ক গড়াতে চলেছে আদালত অবধি। ওই পুজোর আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, এবছর কমিটি দ্বারা নির্বাচিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি' থিমকে মাথায় রেখেই ওই আজান ব্যবহৃত হয়েছে মণ্ডপে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শান্তনু সিংহ জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি বেলেঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যাতে আয়োজকদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ‘বিশৃঙ্খলা ও শান্তি বিঘ্নিত' করার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে যে তারা এখনও কোনও অভিযোগ পাননি।

 সকলের মধ্যেই লুকিয়ে ঈশ্বর! মুসলিম কন্যাকে কুমারীপুজো করে প্রথা ভাঙল দত্ত পরিবার

শান্তনু বলেন, “পুজো মণ্ডপের ভিতরে প্রতি ১০-১৫ মিনিটে আজান বাজানো হচ্ছে দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ওরা থিমকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলছে। দুর্গাপুজোর সময় হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কী ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রচার করছেন তাঁরা?” শান্তনু আরও বলেন যে, আয়োজকদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, “পুজোর মূল প্রতিপাদ্য হ'ল “আমরা এক, একা নই”। আজানের পাশাপাশি ‘ওম' মন্ত্রটিও বাজানো হচ্ছে।”

পুজোয় নুসরতের ঢাক, নাচে তোপ মৌলবীর, ট্যুইটার দুনিয়ার প্রশংসা

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা বিবেক সিংও আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিবেক বলেন, “পুজোর থিমের নামে কি আমরা দুর্গাপুজোর থিম নিয়ে খেলতে পারি, আমাদের ধর্ম নিয়ে খেলতে পারি? ফুলবাগান থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আমরা পরেশ পাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি পথ গ্রহণ করব।”

অন্যদিকে পরেশ পাল বলেন, পুজো মণ্ডপে মন্দির, গির্জা এবং মসজিদের নকশা রয়েছে যাতে অন্তর্ভুক্তির চেতনা প্রকাশ করা যায়। পরেশ পাল বলেন, “পুজো মণ্ডপে একটি মন্দির, একটি গির্জা এবং একটি মসজিদ রয়েছে যা আমাদের অন্তর্ভুক্তির চেতনারই প্রকাশ। আমরা আমাদের মণ্ডপ সজ্জা এবং থিম গানে দেখানোর চেষ্টা করেছি যে মানবতাই সব কিছু ঊর্ধ্বে।” তিনি আরও বলেন, “ওরা এফআইআর দাখিল করুক বা আইনি পথে চলুল। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।”

.