২৭ বছরের ছেলে আমেরিকায় রয়েছেন, সেখান থেকেই বাবার চিতাভস্মের প্রসঙ্গে সরকারকে অনুরোধ করেন তিনি
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত দমদমের ব্যক্তির সৎকার সম্পন্ন হয়েছে
- জানা গেছে, তাঁর ছেলে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্যে আমেরিকায় রয়েছেন
- করোনা পরিস্থিতির জেরে তিনি দেশে ফিরে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি
কলকাতা: কোনও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস না থাকলেও করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দমদমের (West Bengal) এক ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য জানা গেলেও পরে গুজব রটে যে কিছুদিন আগে নাকি ওই ব্যক্তি ইতালি গেছিলেন। যদিও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ছড়ানো এই গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে সরকারি সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য। তবে সোমবার দিনভর তাঁর সৎকার নিয়েও প্রচণ্ড জটিলতা চলে। জানা গেছে ওই ব্যক্তির ছেলে বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। লকডাউন পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তবে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে তাঁর বাবার চিতভস্ম পরিবারের হাতে পরবর্তীতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপর থেকে নানা জটিলতা শুরু হয় তাঁর দেহ সৎকার (Cremation) নিয়ে।
প্রথমত ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নেওয়ার মতো কোনও আত্মীয়েরই সন্ধান মেলেনি। কারণ মৃতের স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। ফলে পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি ওই ব্যক্তির দেহ নেওয়ার জন্যে। পরে সরকারি সহায়তায় তাঁর দেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজ্যে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা, রাস্তা অবরোধ
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একে তো মরদেহ হস্তান্তর করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তার উপর আবার শ্মশানে দাহকার্য নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। সব মিলিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় করোনা ভাইরাসে মৃত ওই ব্যক্তির দেহটি।
উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদমের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্বর ও শুকনো কাশির উপসর্গ সমেত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে, এরপর তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর।
"করোনার বিপদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি" সম্পর্কে রাত ৮ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলে একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং গত বছরের জুলাই মাসে উচ্চশিক্ষার জন্যে কলকাতা ছেড়ে ছিলেন তিনি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর এও গুজব রটে যে গত ১৬ মার্চ নাকি লুকিয়ে বাবাকে দেখতে আমেরিকা থেকে সোজা কলকাতার হাসপাতালে আসেন তাঁর সাতাশ বছরের ছেলে। পরে তিনি শহরেরই কোথাও গা ঢাকা দেন বলেও রটনা। কিন্তু জানা যায় যে এই ধরণের রটনার সবই গুজব।