This Article is From Aug 10, 2020

করোনা রোগীদের ফুসফুস আক্রান্ত হলে মুশকিল আসান হচ্ছে 'একমো'

Coronavirus: যখন কোনও করোনা রোগীর ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করে না, তখনই এই ইসিএমও বা একমো যন্ত্রটিকে কাজে লাগাচ্ছেন কলকাতার চিকিৎসকরা, মিলছে সুফল

করোনা রোগীদের ফুসফুস আক্রান্ত হলে মুশকিল আসান হচ্ছে 'একমো'

Kolkata: করোনা চিকিৎসায় বাড়ছে সুস্থতার হার (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র
  • ইসিএমও বা একমো নামের এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন চিকিৎসকরা
  • অনেকটা কৃত্রিম ফুসফুসের মতো কাজ করে এই যন্ত্রটি
কলকাতা:

দেশে এখন আতঙ্কের একটাই নাম করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এই মারণ ভাইরাসের (Coronavirus) কবলে পড়ছে। তবে একথাও ঠিক যে, সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া গেলে সুস্থ হয়ে উঠছেন অনেক করোনা রোগীই। বর্তমানে কলকাতায় (Kolkata) আশঙ্কাজনক কোভিড রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে ইসিএমও বা একমো মেশিন (ECMO machine)। যে রোগীদের আইসিইউয়ে রেখেও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো যাচ্ছে না, এখন তাঁদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি।ইসিএমও, যার পুরো নাম হলো একস্ট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন,  এই মেশিন আসলে একটা কৃত্রিম ফুসফুসের মতো কাজ করে। কোনও করোনা রোগীর শরীরে হার্ট বা ফুসফুস যখন কাজ করতে পারে না তখনই এই মেশিন ব্যবহার করে তাঁকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

দেশে এপর্যন্ত করোনার কবলে ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষ, তবে সুস্থতার হার ৬৯%

কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল এই ইসিএমও মেশিনটি, যার দাম প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

বাংলাদেশে আটকে পড়া মানুষদের ফিরতে দিন, রাজ্যকে অনুরোধ কেন্দ্রের

সম্প্রতি এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রের সাহায্যেই গত প্রায় ৬০ দিন ধরে একটি হাসপাতালে ভর্তি এক করোনা আক্রান্ত চিকিৎসককে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। ইসিএমও যন্ত্রটি দিয়ে তাঁর টানা ১২ দিন চিকিৎসা চলে। তারপরেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। গত সপ্তাহেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কোনও করোনা রোগীর ফুসফুস কাজ না করলে শরীরের রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে। সেই বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই মেশিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফুসফুস কাজ না করলে খুব স্বাভাবিকভাবেই করোনা রোগীর শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যায়। অনেক সময় ভেন্টিলেটর সার্পোট দিয়েও ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখনই মুশকিল আসান হয়ে ওঠে এই একমো মেশিন। এই যন্ত্রটি শরীর থেকে দূষিত রক্ত বাইরে বের করে আনে। সেই রক্তকে পরিশ্রুত করে ফের তাকে শরীরের মধ্যে চালান করে। কতটা রক্ত ঠিক কত গতিতে বের করা হবে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই মেশিনের মাধ্যমে।

করোনা চিকিৎসায় এখন কলকাতাতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে এই ইসিএমও যন্ত্রটি, ফলও মিলছে হাতেনাতে। কলকাতার পরে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে আমেদাবাদে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জোরকদমে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। সমস্ত সতর্কতা নিয়েই এই কাজ চালানো হচ্ছে।

.