শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যাবেন রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে বহিষ্কার করার এক মাস পরে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar) আগামী শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কোর্ট মিটিং বা প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। ওই বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা সমাবর্তনে সম্মানসূচক ডি লিট এবং ডিএসসি প্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) আচার্য ধনকরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পিটিআইকে জানান, শুক্রবার তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্রম-অগ্রসরমান বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার দাবি রাখে এবং একে অবশ্যই নিজের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে", বলেন তিনি । ১৯ সেপ্টেম্বর বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থাকাণ্ডের পরে এই প্রথম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (Chancellor) তথা রাজ্যপাল ধনকর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ওই হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেশ কিছুটা বাগযুদ্ধও বাঁধে রাজ্যপালের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ধনকরের শুক্রবার নির্ধারিত ওই কোর্ট মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠান আয়োজনে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়
কোর্ট মিটিং বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রশাসনিক বৈঠকে সাধারণত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান এবং উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত থাকেন। সমাবর্তনে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রাপ্তদের নাম বাছাইয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একজন সদস্য বলেন, সাধারণত বিভাগীয় প্রধানদের সমন্বয়ে নির্বাহী পরিষদ দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ওই নামগুলি নির্বাচন করেন। এরপরে ওই নামগুলির তালিকাটি আবার পরীক্ষা করে, তারপর তা চূড়ান্ত করা হয়। এরপরে ওই চূড়ান্ত তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে তাঁর সম্মতির জন্যে পাঠানো হয়।
"তবে এ বছর সেপ্টেম্বরে রাজভবনে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠককালে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য স্পষ্ট করে বলে দেন যে এই বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্তেই তাঁর অংশ নেওয়া উচিত এবং ১৮ ই অক্টোবর যে বৈঠক হবে তাতে তিনি অংশ নেবেন", জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই জুটা সদস্য।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ছাত্র ইউনিয়নের (এএফএসইউ) সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "আচার্য হওয়ার কারণে আদালতের সভায় অংশ নেওয়ার তার অধিকার রয়েছে।" তবে তিনি একথাও জানান যে, ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যেভাবে ধনকর ক্যাম্পাসে ঢুকে বিজেপি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়াদের অধিকারকে অগ্রাহ্য করে গাড়িতে করে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তা তাঁরা কখনই ভুলতে পারবে না। দেবনাথ আরও মনে করিয়ে দেন যে, গভর্নর সেদিন যাদবপুর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবিভিপি কর্মীদের ভাঙচুরের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেননি। এএফএসইউ ধনকরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা এ জাতীয় কোনও কর্মসূচি স্থির করিনি।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়র ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন প্রাক্তনীরা
জুটার এক সদস্য বলেন যে তাঁরা আশাবাদী যে ধনকরের সফরের সময় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। তবে শেষ মুহুর্তে যদি এমন কোনও ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে "আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলব", জানান তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর বাবুল সুপ্রিয়কে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং ছাত্রদের একটি অংশ তাঁকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
দেখুন ১৬.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)