মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৭ নভেম্বর
কলকাতা: সম্মতি না দেওয়া পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৌবাজার এলাকায় সুড়ঙ্গে খোঁড়ার কাজ করতে গিয়ে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে অথবা চওড়া ফাটল ধরেছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে আলাদা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ৭ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। কলকাতা মেট্রে রেল কর্তৃপক্ষকে, আরও ক্ষতি যাতে না হয়, তার জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং মেট্রো করিডরের কাজের পাশাপাশি এলাকার নির্মাণগুলির সুরক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ করা হবে ভবিষ্যতে তা বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়। এই ধরণের পরিস্থিতিতে কাজ করার মতো বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কী পরিকাঠামো রয়েছে এবং বৌবাজার এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যাগুলিতে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে বলা হয় রাজ্য সরকারকে।
মেট্রো-সুড়ঙ্গের কাজ চলায় বাড়িছাড়া,হোটেলে অসুস্থ বৃদ্ধা,হাসপাতালে মৃত্যু
কলকাতা মেট্রো রেলের আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে জানান, ৭৮টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে ৬৮৮ জনকে অন্যত্র জায়গায় সরানো হয়েছে, অন্তবর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৮৩ টি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, ভারতীয় এবং বিদেশী ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জল জমা বন্ধ করেছেন। ৩১ অগস্ট বিপর্যয়ের পরেই তাঁদের আনা হয়েছিল।
বৌবাজারের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ বন্ধের দাবিতে করা মামলার শুনানিতে, ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা মেট্রোকে “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে” এবং নির্মাণগুলির ক্ষতি আটকাতে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলাটিতে মেট্রো রেল (নির্মাণকাজ) আইন ১৯৭৮ কেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজের জন্য ঘরছাড়া শতাধিক মানুষ
৩ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার পরেই তরিঘরি তারা সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাজ আরম্ভ করবে না।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়া শহরকে জুড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর, মোট পথের দৈর্ঘ্য ১৬.৬ কিলোমিটার। এই মেট্রো করিডর কলকাতার এমন কিছু এলাকা দিয়ে গিয়েছে, যেখানে অনেক পুরানো বিল্ডিং রয়েছে এবং সেগুলির অবস্থাও খুব বিপজ্জনক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)