This Article is From Feb 20, 2020

প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে সিএমআরআই হাসপাতালে উত্তেজনা! চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ

প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে। মৃতার পরিবারের তরফে এক চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই চিকিৎসককে চড় মারছেন এক যুবক।

হাইলাইটস

  • প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে কলকাতার হাসপাতালে উত্তেজনা, চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ
  • সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা
  • এই ঘটনায় অভিযোগের তির মৃতার স্বামীর দিকে
কলকাতা:

প্রসূতির মৃত্যু (Woman Dies After Childbirth) ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে। মৃতার পরিবারের তরফে এক চিকিৎসককে (Slapping A Doctor) চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ওই প্রসূতি। তারপর থেকে মা ও সদ্যোজাত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পরিবারের তরফে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁরা হাসপাতাল থেকে জরুরি ফোন পায়। এই ফোনে পেয়ে হাসপাতালে (CMRI Hospital, Kolkata) গিয়ে ওই পরিবার জানতে পারে সেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সেই ব্যাপারে হাসপাতালের অন্য কর্মী এবং স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। সকাল ৯টা নাগাদ মৃতার স্বামী তপেন ভট্টাচার্য উত্তেজিত হয়ে সেই চিকিৎসককে চড় মারেন। এমনটাই ধরা পড়েছে করিডরের সিসিটিভিতে (A CCTV Footage)। সেই ঘটনায় উত্তেজনা যাতে আর বেশি না ছড়ায় তাই নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সিএমআরআই।

৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট

সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন মৃতার পরিবার, তখন সেই নিগৃহীত চিকিৎসক একটা সোফায় বসে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ নিজের আসন সছেরে উঠে চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়কে চড় মারেন তপেনবাবু। সেই আকস্মিকতার ধাক্কায় দেওয়ালে সেঁটে যান ওই চিকিৎসক এবং তাঁর হাতে থাকা মোবাইলও পড়ে যায়। তখন প্রসূতির পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে উদ্যত হন। 

ক্রেন ভেঙে তিন সহকারী পরিচালকের মৃত্যু, আহত ৯ জন

এই ঘটনার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে সিএমআরআই জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে সেই পরিবারকে ময়না তদন্ত করাতে পরামর্শ দিচ্ছিলেন চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়। সেই সময় সেই পরিবারের একজন উত্তেজিত হয়ে সেই চিকিৎসকের উদ্দেশে কটু ভাষা প্রয়গের পাশাপাশি তাঁকে চড়ও মারেন। এমনকি উত্তেজিত করে তোলা হয় হাসপাতালের পরিস্থিতি।যদিও এরপর পরিস্থিতি ঘোরালো হয় পুলিশি অভিযোগকে ঘিরে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগে পাল্টা আইনের দ্বারস্থ হতে পারে সিএমআরআই। এই ঘটনার পর চিকিৎসক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এমন ব্যাখ্যা দিয়ে চিকিৎসক হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। এই ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্তদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ তৈরি হবে। আর প্রভাবিত হবে সমাজের অন্যতম মহৎ এই পেশার কাজ। 

.