This Article is From Sep 15, 2019

'খুব শিগগিরি তৃণমূল নেতাদের ঠিকানা হতে চলেছে আলিপুর জেল': বাবুল সুপ্রিয়

রাজীব কুমারকে যেভাবে আগলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই দেখে আসানসোলের সাংসদের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, খুব শিগগিরিই তৃণমূল নেতাদের বাসস্থান হতে চলেছে আলিপুর জেল।

'খুব শিগগিরি তৃণমূল নেতাদের ঠিকানা হতে চলেছে আলিপুর জেল': বাবুল সুপ্রিয়

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়-র!

নয়া দিল্লি:

তৃণমূলের কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে যেভাবে আগলাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তাই দেখে আসানসোলের সাংসদের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, খুব শিগগিরিই মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বাসস্থান হতে চলেছে কলকাতা আলিপুর জেল। এই প্রসঙ্গে বাবুলের আরও কটাক্ষ, সম্প্রতি তিনি কলকাতা আলিপুর জেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন, পুরো জেলের গায়ে নীল-সাদা রং। তাঁর মতে, মাঝে আঁকার শখ জেগেছিল তৃণমূল শাসকের। সেই ঝোঁকে তিনি এই রং করলেও, বোধহয় বুঝতে পারেননি, এই জেলই তাঁর এবং তাঁর দলের নেতাদের ভবিষ্যতের ঘরবাড়ি হতে চলেছে। কারণ, তাঁদের একের পর এক দুর্নীতি।

“শুধরে যান নইলে চিদাম্বরমের মতো জেলে কাটাতে হবে” মমতাকে হুমকি বিজেপি নেতার

একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, শুরু থেকেই পুলিশ তথা প্রশাসনকে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি আড়়ালের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে জিততেও তাঁদের সাহায্যই নিয়েছিলেন তিনি। তাই সিবিআই যখন গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন কমিশনারের কাছে, তিনি তাঁকে বাঁচাতে ধর্নামঞ্চ তৈরি করেছিলেন। যা যেকোনও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষেই অত্যন্ত বেমানান।

এখানেই থামেননি বাবুল। তিনি আরও বলেন, একের পর এক দুর্নীতির পরে হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোধোহয় হয়। কাটমানি, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। কিন্কু ততক্ষণে তো যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। এভাবেই তিনি দিনের পর দিন শোষণ করেছেন রাজ্যের মানুষকে। কণ্ঠরোধ করেছেন যুবশক্তির।

প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীবের খোঁজে সিবিআই হানা দিল নবান্নে। চিঠি রাজ্য প্রশাসনকে

প্রসঙ্গত, রবিবারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, দেশ এখন "সুপার ইমার্জেন্সি" বা জরুরি অবস্থার সম্মুখিন। দেশবাসীর স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। তার বিরুদ্ধে সরব ও সজাগ হতে হবে সবাইকে। এরপরেই বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা জবাবে মমতাকে বিঁধে বলেন, যিনি পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতে ধর্নামঞ্চে বসতে পারেন তাঁর মুখে এই ধরনের কথা কী করে মানায়!

.