জলেই শেষ শয্যা পাতলেন জাদুকর
কলকাতা: জাদুকর হ্যারি হাউদিনি (Harry Houdini) জাদু বলে প্রতিবার জলের তলা থেকে নিজে নিজে বেরিয়ে আসতেন। তাঁর মতো চঞ্চল লাহিড়িও (Chanchal Lahiri) কয়েকবার উঠে এসে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর তা হল না। গতকাল, জলপুলিশ গঙ্গা থেকে উদ্ধার করল জাদুকরের প্রাণহীন দেহ। জাদু দেখাতে গিয়ে জলের নীচেই (underwater) শেষ শয্যা পাতলেন তিনি। মাথার ওপর বসে তাঁর থেকেও বড় জাদু দেখালেন ওপরওয়ালা।
গতকাল, হুগলি নদী থেকে উদ্ধার হয় জাদুকরের দেহ। কলকাতা বন্দর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ ওয়াকুয়ার রাজা জানিয়েছেন একথা। বছর চল্লিশের চঞ্চল দর্শকদের কাছে পরিচিত ছিলেন জাদুকর ম্যানড্রেক নামে।
জাদুবলে জলেই ভ্যানিশ কলকাতার জাদুকর? মাঝগঙ্গা তোলপাড় জাদুকরের খোঁজে
গত রবিবারেও তিনি ম্যাজিকের লাল-হলুদ পোশাক পরে জাদু দেখাতে নেমেছিলেন। দর্শক ও তাঁর বাড়ির লোকেদের সামনেই হাত-পা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। মিনিট দশেক পরেও তিনি না ওঠায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গঙ্গায় নামানো হয় জলপুলিশ, ডুবুরিকে। তবু হদিশ মেলে না তাঁর।
এর আগে চঞ্চল এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, ২১ বছর আগে এই খেলা তিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন শহরে। তখন তিনি উঠে এসেছিলেন জল থেকে। তাঁকে বুলেট প্রুফ কাচের বাক্সে হাত-পা বেঁধে মাঝগঙ্গায় ক্রেনে করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২৯ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি উঠে আসেন।
এবারে জলে নামার আগে তিনি নাকি বলেছিলেন, যদি বেঁচে উঠে আসতে পারি তাহলে জয় হবে জাদুর। নাহলে আমার পরিণতি হবে মর্মান্তিক। তিনি আরও বলেন, জাদুর প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ফেরাতেই এমন মরণ খেলা দেখাচ্ছেন তিনি। এর আগে ২০১৩-য় তিনি এই খেলা আরেকবার দেখিয়েছিলেন। সেবার দর্শকেরা তাঁকে বাক্সের পেছনের দরজা দিয়ে স্পষ্ট বেরিয়ে যেতে দেখেছিল। ফলে, ডাঙায় উঠতেই তাঁকে ঠগ বলে গালগালি দিয়ে মারধর করেছিল তারা। ছিঁড়ে দিয়েছিল তাঁর জাদুর পোশাক।
ছন্দে ফিরছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা; কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
খবর, এক দশক আগে নদীর ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে জলে পড়ে গিয়েছিলেন চঞ্চল। তখনও ভুল জাদু দেখানোয় ক্ষিপ্ত জনতা বেধড়ক মারধর করেছিল তাঁকে।