ফেয়ারলি প্লেসের সামনে থেকে লঞ্চে চড়ে ২৮ নম্বর পিলারের কাছে নিখোঁজ হন জাদুকর
কলকাতা: এভাবেই তাঁকে (Kolkata Magician) প্রতিবার হাত-পা বেঁধে কাচের বাক্সে করে ফেলে দেওয়া হত জলের মাঝখানে। আর তিনি নাকি জাদুবলে উঠে আসতেন বিনা সাহায্যেই। গতকালও তাঁরই নির্দেশে হাত-পা বেঁধে ক্রেনে তুলে মাঝগঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকেই আক্ষরিক অর্থে ভ্যানিশ হয়ে যান দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের বাসিন্দা জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ি (Chanchal Lahiri)। রাতভর গঙ্গা তোলপাড় করেও খোঁজ মেলেনি তাঁর। খবর জানাজানি হতেই প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিকেরা, মাঝগঙ্গায় এভাবে জাদু দেখানোর অনুমতি কীভাবে পেলেন জাদুকর?
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতা পুলিশের ওপর মহলের কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের দাবি, লঞ্চে ম্যাজিক দেখানোর অনুমতি প্রশাসনের থেকে নিয়েছিলেন জাদুকর। তবে জলে নেমে ম্যাজিক দেখানোর অনুমতি নেননি। এছাড়া, তাঁর জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল না। পুরো ঘটনা জানতে তদন্তে নেমেছে জল পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি।
ভারতের বিরল প্রজাতির ধূসর নেকড়েকে মেরে ফেলা হল বাংলাদেশে
গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাল দুপুরে ফেয়ারলি প্লেস ঘাট থেকে লঞ্চে চড়েন চঞ্চল। তারপর মাঝগঙ্গায় লঞ্চ আসতেই ঝাঁপ দেন তিনি। হাওড়া ব্রিজের ২৮ নম্বর পিলারের কাছে শেষ দেখা যায় তাঁকে। তারপরেই তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। সেই সময় নাকি জাদুকরের শুধু দু-চোখই বাঁধা ছিল না, দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল হাত-পাও। ওই অবস্থায় জলে পড়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকেরা রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে থাকেন জাদুকরের। কিন্তু মিনিট দশেক কাটার পরেও তাঁকে উঠে আসতে না দেখে স্থানীয় জলপুলিশকে খবর দেন তাঁরা।
সরাসরি সম্পরচারের দাবি মানলেন মুখ্যমন্ত্রী! ডাক্তারদের সঙ্গে বসবেন মমতা: ১০ টি পয়েন্ট
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খবর পাওয়া মাত্রই তারা পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। তোলপাড় করে ফেলে মাঝগঙ্গা। ডুবুরি নামিয়েও খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু কোথাও হদিশ মেলে না চঞ্চলের। পরে অন্ধকার নামায় তল্লাশি বন্ধ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। আজ সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে তল্লাশি।