This Article is From Mar 27, 2019

কিশোরীকে অপহরণ করে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

মেয়েটির মা পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে পুলিশ ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনে বলে পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন।

কিশোরীকে অপহরণ করে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

ধর্ষণের অভিযোগে অভিজিতের ১০ বছরের এবং মেয়েটিকে অপহরণের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়

হাইলাইটস

  • মঙ্গলবার ২২ বছরের এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত
  • অভিযোগ ওই ব্যক্তি এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে
  • গত বছর ডিসেম্বরে রাত বাড়ির বাইরে বেরিয়ে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়
কলকাতা:

মঙ্গলবার ২২ বছরের এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নারকেলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ, জোর করে বিয়ে করে ও বলপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে অভিজিৎ পাইক নামে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত সেশন জজ জীমূতবাহন বিশ্বাস ধর্ষণের অভিযোগে অভিজিৎকে ১০ বছরের এবং মেয়েটিকে অপহরণের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। তিনি নিজের রায়ে জানিয়েছেন, দু'টি সাজাই একসঙ্গে লাগু হবে।

চন্দ্রযান ২ তে চড়ে চাঁদে যাবে নাসা-র যন্ত্রাংশ

আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, ১৪ বছরের মেয়েটিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে পস্কো আইনের আওতায়।

অভিজিৎ পাইককেও আদালত আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৫০ হাজার এবং পৃথকভাবে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে। এবং এই অর্থের মধ্যে ৯০% মেয়েটিই পাবে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জানা গিয়েছিল, অভিজিৎ তাকে লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিল, এমনটাই জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর বিবেক শর্মা।

বাংলাদেশি ঠিকা শ্রমিকের ছবি ভাইরাল বিশ্বে, কী আছে তাঁর চোখের চাহনিতে?

মেয়েটির মা নারকেলডাঙ্গা পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে পুলিশ ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনে বলে পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন। পরে অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলা চলাকালীন মেয়েটি নিজের বক্তব্য জানায়, সে আগে অভিজিতের সঙ্গে তিন বছর সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কিন্তু ওই দিন অভিজিৎ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তার কোন দোষ নেই, মেয়েটি স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে গিয়েছিল।

.