Kolkata: গত সপ্তাহেই ওই বইটি অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন সুতীর্থ দাস
হাইলাইটস
- কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো অর্ডার করে হাতে এল ভগবত গীতা
- গোটা ঘটনায় বেকুব বনে গেছেন কলকাতার এক বাসিন্দা
- নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে দোকানে যাওয়া মুশকিল, তাই পড়বেন বলে কলকাতার বাসিন্দা সুতীর্থ দাস অনলাইনেই অর্ডার দিয়েছিলেন "দ্য কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো" (Communist Manifesto) বইটি। কিন্তু বাড়িতে বইটির ডেলিভারি হওয়ার পর তিনি যা দেখলেন (Delivery mix-up) তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতো অবস্থা। অর্ডার করা "দ্য কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো" এর পরিবর্তে তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে "ভগবত গীতা"। এরপরেই নিজের ফেসবুকে বইটির ছবি পোস্ট করে গোটা ঘটনার কথা জানান সুতীর্থ। নিজের পোস্টে তিনি লেখেন... "প্রথমেই বলি, সম্পূর্ণ লেখাটা পড়ে তারপরই ছবিগুলো দেখবেন, তাহলেই সবচেয়ে ভাল উপভোগ করবেন। যাকে বলে - হেব্বি রগড় হবে! ক্রোনোলজিটা বুঝুন।" এরপরেই গোটা ঘটনাটি ধাপে ধাপে বর্ণনা করেন সুতীর্থ দাস।
'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' কর্মীদের উপরে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি করছে সরকার
১. গত বুধবার (১০/০৬) অ্যামাজনে একটি বইয়ের সন্ধান পেলাম যেটি ডিস্কাউন্ট প্রাইসে, খুব সস্তায় পাওয়া যাচ্ছিল। বইটির নাম 'কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো'। চট করে অনলাইনে অর্ডার করে দিলাম - আগাম পেমেন্ট করে। নব্বই টাকার বই, পঞ্চাশ টাকা ডেলিভেরি চার্জ সহ একশ চল্লিশ টাকা কার্ডে পেমেন্ট করে দিলাম।
২. সঙ্গে সঙ্গে একটি মেসেজ পেলাম যে বইটি শুক্রবার ১২ তারিখ কিম্বা শনিবার ১৩ তারিখ ডেলিভারি হবে।
৩. আজ সক্কাল সক্কাল এসএমএস'এ বার্তা পেলাম, 'শোনো ভাই, তোমার বই নিয়ে আমাদের লোক বেরিয়ে পড়েছে। আজ তুমি পেয়ে যাবে।'
৪. তারপর দুপুর দুটো নাগাদ - আমি তখন অফিসে, বাড়ি থেকে খবর পেলাম যে আমার একটি পার্সেল ডেলিভারি হয়েছে।
৫. সন্ধ্যা বেলায় - এই কিছুক্ষণ আগে, বাড়ি ফিরে প্যাকেট হাতে পেলাম।
৬. তারপর - প্যাকেটের মোড়ক খুলে বই বার করে আমি তো আবাক! এ কী? এ যে "ছিল বেড়াল হয়ে গেল রুমাল"!
৭. 'কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো'র বদলে আমাকে পাঠানো হয়েছে 'ভগবত গীতা'। একটা একশ কুড়ি পাতার চটি ভাগবত গীতা। ইংরেজিতে।
৮. এখনও ভেবে পাচ্ছি না, কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো বদলে আর কোনও বই নয়, ভগবত গীতা এলো?
ভাল কথা - ইনভয়েস ডিটেলে বইয়ের নাম কিন্তু 'কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো' দেওয়া আছে! (শেষ ছবিতে)।
কলকাতার ৫২% নাগরিক আরও একমাস সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে: সমীক্ষা
কলকাতার বাসিন্দা সুতীর্থ দাসের এই ফেসবুক পোস্টটি পড়ে বহু মানুষই তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই কমেন্ট সেকশনে ব্যঙ্গ করেও নানা কথা লেখেন।
তবে এটা এখনও জানা যায়নি যে 'অ্যামাজন'-এর তরফ থেকে ওই ভুল বই ডেলিভারির বিষয়ে কিছু জানানো হয়েছে কিনা। সুতীর্থ দাসও তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেননি যে, গোটা ঘটনাটি তিনি ওই ই-কমার্স সংস্থাকে জানিয়ে বইটি বদলে দেওয়ার আবেদন করেছেন কিনা।