Kolkata Metro Rail Corporation: ১৬.৬ কিমি দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটি কলকাতা এবং হাওড়াকে সংযুক্ত করবে (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
- ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের মধ্যে বায়ু চলাচলের জন্য গভীর কুয়ো
- সেই কুয়ো তৈরির কাজ শেষ হলো
- প্রায় ১৫ তলা একটি বাড়ির সমান এই ভেন্ট শাফ্ট
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার শেষ হলো কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (East-West Metro) প্রকল্পে বায়ু চলাচলের জন্য দেশের গভীরতম কুয়োর কাজ। এই কুয়োটি ১৫ তলা ভবনের সমান। এটির কাজ শেষ হওয়া মানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের (Kolkata Metro) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ হওয়া, জানিয়েছেন আধিকারিকরা। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (Kolkata Metro Rail Corporation) এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা আফকনস যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে বায়ুচলাচলের জন্য ৪৩.৫ মিটার গভীর কুয়োটি তৈরির কাজ। ওই কুয়ো বা ভেন্টিলেশন শাফ্টের মাধ্যমে শুধু যে মেট্রো চলাচলের জন্য তৈরি সুড়ঙ্গ পথে বায়ু চলাচল করতে পারবে তা নয়, কখনো কোনও জরুরি অবস্থা তৈরি হলে ওই কুয়ো দিয়েই সকলকে সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে। এই ভেন্টিলেশন শাফ্টটি স্ট্র্যান্ড রোডে তৈরি করা হয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
আফগনস প্রকল্পের পরিচালক সত্য নারায়ণ কুনওয়ার সহায়তা, "মাটির তলায় ভূতাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে অভিনব ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল এবং পদ্ধতি অবলম্বন করে এই মেট্রো শাফ্টটি তৈরি করা হয়েছে", বলেন আফকনসের প্রজেক্ট ম্যানেজার সত্য নারায়ণ কুমার। এই শাফ্টটি থেকে গঙ্গা মাত্র ৬০ মিটার দূরে রয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ১৬.৬ কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথ কলকাতা এবং হাওড়াকে সংযুক্ত করবে। দীর্ঘ এই রেল পথের মধ্যে ১০.৮ কিলোমিটার পথ যাবে মাটির তলা দিয়ে, বাকি ৫.৮ কিলোমিটার থাকবে মাটির ওপরেই। হাওড়া ময়দান থেকে একেবারে ফুলবাগান স্টেশন হয়ে সুভাষ সরোবর পর্যন্ত মেট্রো থাকবে মাটির নীচে। তারপর মাটির ওপরেই থাকবে মেট্রোর লাইন। সেখান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চলবে মাটির ওপর দিয়ে। অনুমান করা হচ্ছে এই প্রকল্প চালু হলে হাওড়া থেকে দৈনিক ৭ লক্ষ মানুষ মেট্রো রেলের মাধ্যমে গঙ্গা পেরিয়ে এপ্রান্তে আসবেন সহজেই।