This Article is From Sep 12, 2019

মেট্রো-সুড়ঙ্গের কাজ চলায় বাড়িছাড়া,হোটেলে অসুস্থ বৃদ্ধা,হাসপাতালে মৃত্যু

East-West Metro Railway project: বৃদ্ধার পরিবার তাঁর মৃত্যুর জন্য হোটেলের অত্যন্ত খারাপ থাকার ব্যবস্থা ও খাবারের অতি খারাপ মানকেই দায়ী করেছেন।

মেট্রো-সুড়ঙ্গের কাজ চলায় বাড়িছাড়া,হোটেলে অসুস্থ বৃদ্ধা,হাসপাতালে মৃত্যু

East-West Metro Railway project: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বহু বাড়ি। (ফাইল চিত্র)

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের (Kolkata Metro) সুড়ঙ্গের কাজ চলাকালীন অনেকের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক ৮৭ বছরের বৃদ্ধারও বাড়িও, ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে তিনি ও তাঁর পরিবারকে স্থানীয় একটি হোটেলে গিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু হোটেলে স্থানান্তরিত হওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা, তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বৃদ্ধার পরিবার তাঁর মৃত্যুর জন্য হোটেলের অত্যন্ত খারাপ থাকার ব্যবস্থা ও খাবারের অতি খারাপ মানকেই দায়ী করেছেন। মেট্রো রেলপথের (East-West Metro Railway project) কাজ চলার জন্যেই এরমধ্যে দু'বার মধ্য কলকাতার বৌবাজার এলাকায় সাকরাপাড়া লেনের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয় বৃদ্ধা অঞ্জলি মল্লিককে। সাত দিন আগে, মেট্রোর টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে কাজ চলাকালীন এলাকার মাটি আলগা হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি রাস্তায় বড়সড় ফাটলও দেখা যায়, পাশাপাশি ফাটল দেখা যায় বৃদ্ধা অঞ্জলি মল্লিকের বাড়িতেও।  তখনই তাঁকে একটি হোটেলে গিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয় বলে জানা গেছে।

২০৩৫ সালে কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করবেন দৈনিক ১০ লক্ষ মানুষ

মেট্রো টানেলের কাজের প্রভাবে ৫০ টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল তৈরি হয়েছে - দুর্গা পিতুরি লেন, বাবুরাম শীল লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সাকরাপাড়া লেন এবং গৌর দে লেনের বাড়িতে থাকা মানুষজনকে আশেপাশের হোটেলগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গেছে, এই মুহূর্তে অন্তত ৪০০ জন লোককে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

মৃত বৃদ্ধার এক আত্মীয় জানান, "যে হোটেলের ঘরে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটা ছিল অন্ধকার এবং স্যাঁতসেঁতে, কোনও হাওয়া বাতাস চলতো না একরকম। ঘরটিতে কোনও জানালাও নেই। তাছাড়া হোটেলের খাবারও খুব মশলাদার, যা তাঁর বয়সী এক বৃদ্ধার পক্ষে অনুপযুক্ত ছিল। আমাদের ধারণা তিনি এই জাতীয় অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারার ফলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা বারবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কিছুই করা হয়নি"।

বৃদ্ধার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে এক মেট্রো আধিকারিক জানান, "প্রতিটি মৃত্যুই মর্মান্তিক। আমরা মানুষজনকে বিভিন্ন হোটেলে স্থানান্তরিত করেছি। এমনকি যাতে তাঁরা সঠিক পরিষেবা পান তার জন্য আমরা কয়েকটি কমিটিও গঠন করেছি। এই কমিটিগুলি হোটেল পরিদর্শনও করছে।"

সমালোচনার সময় নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

"যেখানেই আমরা অভিযোগ পেয়েছি, কেএমআরসিএল সে বিষয়ে তদারকি করেছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে। যখনই আমরা কন্ট্রোল রুম কোনও অভিযোগ পাই তখনই তা তাৎক্ষণিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়।

তিনি আরও বলেন, "ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলির বাসিন্দারা যাতে হোটেলগুলিতে ন্যূনতম সুবিধা পায় তার জন্যে আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি"।

কেএমআরসিএল ইতিমধ্যেই মেট্রোর কাজ চলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২ টি পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বলে জানা গেছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.