This Article is From Nov 05, 2018

বিপ্লবী বাঘাযতীনের হাত ধরে ঐতিহ্যের 91 বছরে পাথুরিয়াঘাটার কালীপুজো

1908 সালে প্রথম বাঘাযতীন এখানে কালীপুজোর আয়োজন করেন  কিন্তু আলিপুর বোমা মামলা সহ আরও নানান মামলায় ব্রিটিশ সরকার অনুশীলন সমিতি বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় অনুশীলন সমিতির শাখা সংগঠন গুলিও। বন্ধ হয়ে যায় পুজোও

বিপ্লবী বাঘাযতীনের হাত ধরে ঐতিহ্যের 91 বছরে পাথুরিয়াঘাটার কালীপুজো

পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির কালীপ্রতিমা

কলকাতা:

এই বাংলার পুজো পার্বণের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবের কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়েই কলকাতা শহরের একের পর এক পুজোর জন্ম হয়েছে। বিপ্লবীদের নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য যে সমিতি গুলি গঠিত হয়েছিল সেই সময়, তাদের হাত ধরেই শুরু হয় বেশ কিছু বিখ্যাত পুজো এবং অনেকেই শতবর্ষে পা দিয়েছে, কেউ কেউ পা দিতে চলেছে বলাই যায়। যেমন পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির কালীপুজো। বিপ্লবী বাঘাযতীন শুরু করেছিলেন 91 বছরে পা দেওয়া এই পুজোর। যদিও পুজোর বয়স নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বই রয়েছে।

বিপ্লবীদের গোপন বৈঠক ও শরীরচর্চার প্রয়োজনেই গঠিত হয়েছিল অনুশীলন সমিতি। এই অনুশীলন সমিতির আওতায় সারা কলকাতা জুড়ে বেশ কিছু ব্যায়াম সমিতিও তৈরি হয় যার অন্যতম এই পাথুরিয়াঘাটা। অতুলকৃষ্ণ ঘোষ ও বাঘাযতীন মিলে তৈরি করেন এই সমিতি। পুজোর বর্তমান উদ্যোক্তারা জানান, 1908 সালে প্রথম বাঘাযতীন এখানে কালীপুজোর আয়োজন করেন।  কিন্তু এরপর থেকেই আলিপুর বোমা মামলা সহ আরও নানান মামলায় ব্রিটিশ সরকার অনুশীলন সমিতি বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় অনুশীলন সমিতির শাখা সংগঠন গুলিও। ভেতরে ভেতরে বিপ্লবীদের নানা বৈঠক বা কর্মসূচী চলতে থাকলেও অনুশীলন সমিতি বা পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির তত্ত্বাবধানে প্রকাশ্যে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় পুজোও। 1915 সালে মারা যান বাঘাযতীন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের অতুল কৃষ্ণ ঘোষ 1928 সালে কালীপুজো শুরু করেন। 1930 সালে এই পুজোর সভাপতিত্ব করেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।

পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির কালীপুজোর অন্যতম আয়োজক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়েছিলেন আরও বিখ্যাত মনীষীরা। নেতাজী ছাড়াও নাটোরের মহারাজ, লালগোলার মহারাজ, ভূপেন্দ্র নাথ বসু, অশ্বিনী কুমার বন্দ্যোপাধায় সহ আরও অনেকেই জড়িয়েছিলেন এই কালীপুজোর সঙ্গে। তিরিশ ফুটের এই কালীপ্রতিমার পুজো কলকাতার প্রাচীনতম কালীপুজো বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পুজোকে কেন্দ্র করে পুরনো নিয়ম মেনেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও সানাইবাদনের আয়োজনও। পুজোর পরদিন অন্নকূট আয়োজন হয়ে চলেছে 1996 সাল থেকে। এবছরও তাঁর অন্যথা নেই। ঐতিহ্যের পুজোয় চিরভাস্বর পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি।

 

2aok29tg
.