This Article is From Jan 12, 2020

‘‘নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না’’: কলকাতায় দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী

রবিবার সকাল ১১টায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের (Port Trust's 150th Anniversary Event) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

‘‘নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না’’: কলকাতায় দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী

শনিবার দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কলকাতা:

তাঁর পশ্চিমবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার সকাল ১১টায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের (Port Trust's 150th Anniversary Event) উদ্বোধন করবেন। শনিবার রাতে তিনি ছিলেন বেলুড় মঠে। রবিবার সকালে সেখানেই প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতে আমার শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। আমি মঠের সভাপতি ও অন্যান্যদের কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে কাল রাতে এখানে থাকতে দেওয়ার জন্য। বেলুড় মঠ কোনও তীর্থস্থানের থেকে কম নয়। কিন্তু এটা আমার কাছে সব সময় বাড়ি ফেরার অনুভূতি।'' এদিকে কলকাতায় শয়ে শয়ে মানুষ শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। শনিবার দুপুরে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মিছিল দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল শহরের ‘হৃদয়' ধর্মতলা।

সেখানে কংগ্রেস ও বাম দলগুলির সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তারই কিছু দূরে রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র শাখা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনপিআরের প্রতিবাদে সভা করে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ সেরেই শনিবার বিকেল পাঁচটায় সেই প্রতিবাদসভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় কিছু পড়ুয়া ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার পর। মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সতর্ক করে বলেন, কোনও রকম সমস্যা সৃষ্টি না করতে। পরে প্রতিবাদীরা পিছু হটে।

মিলেনিয়াম পার্ক থেকে হাওড়া ব্রিজের লাইট-সাউন্ড প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিবাদী পড়ুয়ারা জানিয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করা নিয়ে ক্ষুব্ধ। বাম দল ও কংগ্রেস দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রী চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে ইডি ও সিবিআইয়ের চাপে রয়েছেন। অনেকেরই দাবি, তৃণমূল নেতানেত্রীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে ওই কেলেঙ্কারির।

রাজ্যের শাসক দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীয-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক রাজনৈতিক ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেই সিএএ বিরোধী সভায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ, যেহেতু উনি রাজ্যে এসেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি রাজ্যের মানুষ সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মেনে নিচ্ছে না। আমি তাঁকে এই পদক্ষেপগুলি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি।''

তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তিনি এখানে অন্যান্য অনুষ্ঠান‌ে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছেন। তিনি এই ইস্যু নিয়ে বৈঠক করতে দিল্লি আসতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘‘আমি ওঁকে মনে করিয়েছি, কেন্দ্রের কাছ থেকে ৩৮,০০০ টাকা পাওনা রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ত্রাণকার্য বাবদ ৭,০০০ কোটি টাকা রয়েছে।''

এদিন অন্যান্য অনুষ্ঠানের মাঝে নেতাজি সুভাষ ড্রাই ডকে কোচিন-কলকাতা শাখার উন্নত জাহাজ মেরামতি ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

.