হাইলাইটস
- ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রাজ্য সরকারকে ছয় মাস সময় দিয়েছে
- ‘এসওএস: ধাপায় বর্জ্য পোড়ানোর নামে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে’
- ২৮ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশ বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে
কলকাতা: কলকাতার দূষণ বেড়েই চলেছে। রাস্তায়, বাড়িতে, মানুষ এর শিকার। শহরের পূর্ব প্রান্তে ক্রমাগত জঞ্জাল পোড়ানোর অভ্যাস আমাদেরই শেষ ডেকে আনছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রাজ্য সরকারকে ছয় মাস সময় দিয়েছে সমস্যার মোকাবিলার জন্য। সরকারের দাবি তারা সব রকম চেষ্টা করছে।
ব্রিগেডের সমাবেশে বাজবে বিজেপির মৃত্যুঘন্টা, বললেন মমতা
কিন্তু ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসে অবস্থিত একটি অভিজাত কমপ্লেক্স সিলভার স্প্রিং-এর ২৫০০ বাসিন্দা জানিয়েছেন এই আশ্বাস আদতে ফাঁকা আওয়াজ। গাড়ি ও ধাপায় জঞ্জাল পোড়ানোর দূষণের প্রতিবাদে তারা বাড়িতে একটি লাল পোস্টার লাগিয়েছেন।
পাশ দিয়ে যাওয়া যে কোনও গাড়ির চোখে পড়বে সেই পোস্টার। তাতে লেখা এসওএস: ধাপায় বর্জ্য পোড়ানোর নামে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জ্যোতি বসুর মৃত্যুদিনে তাঁকে স্মরণ করলেন মমতা
এক বাসিন্দা বলেন পোস্টার দিয়ে আমরা এটুকুই বলতে চেয়েছি এতে সকলের ক্ষতি হচ্ছে তা সে নেতা, সেলেব, সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন।
বাসিন্দাদের সংগঠনের প্রধান রাজেশ তয়াল বলেন, ``আমাদের বাড়ির এত কাছেই ধারা,সেখান থেকে ক্রমাগত দূষণ দুর্গন্ধ ছড়ায়। মাঝেমধ্যে তো জঞ্জাল পোড়ানোর আগুনের শিখাও দেখতে পাই।
২৮ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশ বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে
পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এ বার শীতে বাসিন্দারা ফ্ল্যাটে বায়ুদূষণ মাপক যন্ত্র বসিয়েছেন। তাতে দেখাচ্ছে মাত্রা খুবই খারাপ। বাসিন্দারা সকলেই শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায়। অনেকে প্রাতর্ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছেন।
২৮ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশ বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে। কিন্তু পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, আইনকে রোজই বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া ও ব্যারাকপুর থেকে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি তুলে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘মানুষ মাত্রই ভুল করে', হার্দিক-লোকেশের পাশে দাড়িয়ে বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘অন্য রাজ্য থেকে যে সব গাড়ি প্রতিনিয়ত ঢুকছে সেগুলি কত বছরের কী করে বুঝবেন? ''
আর এক পরিবেশকর্মী জানান নভেম্বর ও ডিসেম্বরের ৬১ দিলেন মধ্যে ৩৫ দিনই বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল দিল্লির সমান। ‘‘আসলে রাজ্য সরকার কিছুই করছে না। গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলাটির পরবর্তী শুনানি ৩০ জুন। তত দিন আমাদের নিঃশ্বাসে বিষ বাতাসই শরীরে ঢুকবে।'' বলেন তিনি।
কলকাতার বায়ুদূষণ চিত্রে এটাই কী শেষ কথা তবে!
আরও খবর দেখুন এখানে