This Article is From Oct 05, 2019

আগে বিসর্জনের দিন নীলকণ্ঠ পাখি উড়ত শ্রীমানী বাড়িতে

সুকিয়া স্ট্রিটের ওপর শ্রীমানী বাড়ি। মহেন্দ্র শ্রীমানী প্রথম পুজোর প্রচলন করেন এই বাড়িতে। তারপর থেকে ১০৯ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by

শ্রীমানী বাড়ির সাবেকি পুজো

কলকাতা:

সুকিয়া স্ট্রিটের (Shrimani Bari) শ্রীমানী বাড়ি। যে রাস্তার উলটো দিকে একসময় রাজা রামমোহন রায় থাকতেন। যে রাস্তার রয়েছে বিদ্যাসাগরের বাড়ি। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাস করতেন সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায়। এই পাড়ারই একসময়ের বাসিন্দা ছিলেন সলিল চৌধুরীর মতো বিদগ্ধ জনেরা। মহেন্দ্র শ্রীমানী প্রথম পুজোর প্রচলন করেন শহরের অন্যতম বনেদি এই বাড়িতে (Traditional Durga Puja)। তারপর থেকে ১০৯ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো। রথের দিন প্রতিমার কাঠামো পুজো হয় রীতি মেনে। তারপর আস্তে আস্তে সেখানে প্রথমে খড়, তারপর মাটির প্রলেপ পড়ে। একটু একটু করে শুরু হয় পুজোর তোড়জোড়।

ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পৌঁছে যান হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের হাত ধরে

মাটি শুকিয়ে মায়ের গায়ে একদিকে যেমন প্রলেপ পড়ে তেমনি ব্যস্ততা বাড়ে বনেদি পরিবারে। যদিও এখানেও মা অন্ন ভোগ পান না। শুকনো মিষ্টি, সাত-আট রকমের নাড়ু মাকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অষ্টমীর দিন আজও কুমারী পুজো হয় এখানে। আর পুজোর ক-দিন আমিষ ছোঁন না পরিবারের কোনও সদস্য।

Advertisement

পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আগে দশমীর দিন সকালে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত। পুরাণ মতে, ওই পাখি নাকি মহাদেহের কাছে গিয়ে উমার ফেরার সংবাদ পৌঁছে দিত। কালের নিয়মে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দিন। তবে আজো মাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আগামী বছর আবার বাবার বাড়িতে আসার নিমন্ত্রণ জানানো হয় নিজের মেয়ে মনে করে।

Advertisement