This Article is From May 24, 2020

এত বেশি গাছ পড়ে যাওয়ায় কলকাতায় বাড়বে দূষণের মাত্রা, আশঙ্কা পরিবেশবিদদের

দেবাশিস কুমার জানাচ্ছেন, ‘‘পরিস্থিতি শুধরাতে আমরা বিপুল পরিমাণে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীও গাছ লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন।’’

Advertisement
সিটিস Edited by (with inputs from PTI)

কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, আমফানের দাপটে ৫,০০০-এৱ উপরে গাছ পড়ে গিয়েছে শহরে।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) দাপটে বিধ্বস্ত কলকাতা। ঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ। এখনও শহরের পথে পথে দেখা মিলছে পড়ে থাকা গাছের সারির। এই কারণে লকডাউন-পরবর্তী (Post-Lockdown) সময়ে শহরের দূষণের মাত্রা (Pollution Level) বাড়তে পারে। তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা (Environmentalists)। কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, ৫,০০০-এৱ উপরে গাছ পড়ে গিয়েছে শহরে। তাদের মধ্যে অনেক গাছেরই বয়স ৫০ বছরেরও বেশি। কিন্তু পরিবেশবিদদের দাবি, পড়ে যাওয়া গাছের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১০,০০০। পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘‘শহরের পথের ধারের এক তৃতীয়াংশ গাছই উপনে গিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি দূষণের মাত্রা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ২.৫ হয়ে যেতে পারে। কেননা সেই সময় লকডাউন-পরবর্তী সময়ে দৈনিক ৮ লক্ষ গাড়ি রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল করবে।''

এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফে জানানো হচ্ছে, আগামী বর্ষার মরশুমে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র-ইন-কাউন্সিল ও প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য দেবাশিস কুমার জানাচ্ছেন, ‘‘পরিস্থিতি শুধরাতে আমরা বিপুল পরিমাণে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গাছ লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন ‘গ্রিন কভার'-কে ফিরিয়ে আনতে।''

Advertisement

তিনি আরও জানান, আপাতত পড়ে থাকা গাছ সরানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজ করা হচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের ক্ষতিপূরণ করতে দশটি গাছ লাগানো দরকার। এটাই সাধারণ নিয়ম।''

Advertisement

প্রসঙ্গত, গাছের নিঃসৃত কার্বনকে গ্রহণ করে। ফলে তা বাতাসের শুদ্ধতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। লকডাউনের সময়ে শহরের দূষণের মাত্রা দারুণ ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কেএমডিএ-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুধীন নন্দী জানাচ্ছেন, কেবল রবীন্দ্র সরোবর চত্বরেই উপড়ে গিয়েছে ২০০-র উপরে গাছ।

Advertisement

বিশ্বের বৃহত্তম বটগাছ, যেটি শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফানের জাপটে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত সেটিও। এছাড়াও সেখানে অন্যান্য বহু গাছেরই প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বলে সেখানকার বিজ্ঞানী শিব কুমার জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনও সব ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে উঠতে পারিনি। আমরা দেখছি কোন কোনও গাছকে নতুন করে বসানো দরকার। এবং কোথায় একই গাছের চারা বসানো দরকার।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement