কুণালের লেখা ৯১ পাতার চিঠিও সিবিআইয়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
হাইলাইটস
- জেরায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে বলে খবর
- এ নিয়ে শনিবাররে পর রবিবারও জমজমাট হয়ে রইল শিলং
- কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন আরও কয়েকজন
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করল সিবিআই। জেরায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে বলে খবর। এ নিয়ে শনিবারের পর রবিবারও জমজমাট হয়ে রইল শিলং। সূত্রের খবর সোমবারও দুজনের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন আরও কয়েকজন। এঁদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইয়ের একটি দল ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে শিলঙে । আরও কয়েকজনের আসার কথা শোনা যাচ্ছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজন এমন নথি ও তথ্য জোগাড় করতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কুণাল এবং রাজীবকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছিল সিবিআইয়ের। সারদা তদন্ত প্রথমে শুরু করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। তৎকালীন বিধাননগর পুলিশের কমিশনার এবং সিটের প্রধান হিসেবে তদন্তের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন রাজীব। কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হওয়া সারদা কর্তা এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করেছিলেন তিনি। এরপর কুণালকেও গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছু দিন বাদে সিবিআই এই মামলার তদন্ত ভার হাতে নিয়ে তিন জনকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার করে নিজেদের হাতে নেয়। গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই কুণাল বলে আসছিলেন রাজীব ঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না। এ ব্যাপারে কুণালের লেখা ৯১ পাতার চিঠিও সিবিআইয়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
কাল থেকে শুরু মাধ্যমিক, পরীক্ষা চলাকালীন নিজেদের সঙ্গে মোবাইল রাখতে পারবেন না পরীক্ষকরাও
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার কলকাতা ছাড়েন রাজীব। শিলঙে এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরদিন গিয়েছেন কুণাল। দু'জনকেই আলাদা আলাদা জেরা করা হয়েছে। তারপর তাঁদেরকে মুখোমুখি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
জিজ্ঞাসাব্বাদ প্রসঙ্গে রাজীবের আইনজীবী এবং মেঘালয়ের তৃণমূল আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ দেব জানান আদালতের নির্দেশে রাজীব এসেছেন এবং সিবিআইকে সব ধরনের সাহায্যও করছেন তিনি।
সপ্তাহ খানেক আগে এই জেরা ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ৩ তারিখ কমিশনারের সরকারি আবাসে যায় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে কোনও নথি না থাকায় সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের ভুমিকার সমালোচনা করে ধর্নায় বসেন মমতা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)