Coronavirus: করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে আপাতত কফি হাউস বন্ধ রাখা ছাড়া অন্য উপায় নেই, বলেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ
হাইলাইটস
- কলকাতাও এখন ভুগছে করোনা আতঙ্কে
- বন্ধ রাখা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কফি হাউস
- আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে সেটি
কলকাতা: "কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...", হ্যাঁ, বরাবরের জন্যে না হলেও আপাতত বেশ কিছুদিনের জন্যে আপনি-আমি-আমরা আর আড্ডা জমাতে পারব বা কফি হাউসে। সৌজন্যে অবশ্যই করোনা ভাইরাস।অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মহামারীর আকারে ছড়াচ্ছে COVID -19। ইতিমধ্যে কলকাতাতেও দু'জনের শরীরে নিশ্চিতভাবে মিলেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ (Kolkata Coronavirus Case)। এই শহরও তাই এখন ভুগছে করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে। আর তার জেরেই এবার তিলোত্তমার বহু স্মৃতি বুকে ধরা কফি হাউস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কলেজ স্ট্রিটের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কফি হাউসটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। সেখানকার (Coffee House) এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ১৯৫৮ সালের পর থেকে এই প্রথম বন্ধ রাখা হচ্ছে কফি হাউস। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ এই সময় কফি হাউসে একসঙ্গে বহু লোকের সমাবেশ হলে ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ, আক্রান্ত হতে পারেন সেখানকার কর্মচারীও, তাই সবদিক ভেবে এটি বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই খোলা ছিল না, জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জনতা কার্ফু! শনিবার মাঝরাত থেকেই চলবে না কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন! বিবৃতি দিয়ে জানাল রেল
সরকারের পক্ষ থেকে যদিও কফি হাউস বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দুজনেই সাধারণের কাছে আবেদন করেছেন করোনা সাবধানতা অবলম্বনের জন্যে। মানুষকে যতদূর সম্ভব বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাই সামগ্রিকভাবে সতর্কতা বজায় রাখতেই কফি হাউস বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত।
কফি বোর্ড প্রথমে ১৯৪২ সালে অ্যালবার্ট হলে কফি পানের একটা জায়গা তৈরি করে। পরে এই স্থানটিকেই "কফি হাউস" নাম দেওয়া হয়। দেখতে দেখতে শহরের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এটি। হয়ে ওঠে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং বিশ্বের নানা মানুষদের এক মিলন স্থান, শিল্প ও সংস্কৃতির এক প্রাণবন্ত উদাহরণ।
৩১ মার্চ পর্যন্ত ঝাঁপ বন্ধ রাখছে ওহ! ক্যালকাটা, মেইনল্যান্ড চায়না
১৯৫৮ সালে একবার কর্তৃপক্ষ কফি হাউস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু ওই বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা মিলিতভাবে ওই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি বাঁচাতে সরকারের কাছে বিশেষ আর্জি জানান।
কফি হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেন এবং ঋত্বিক ঘটকের মতো ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৮ সালে নকশাল আন্দোলনের সময়েও কখনো বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে এই করোনা দানবকে রুখতে সেটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। "৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখছি এটি, পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, সরকারের সিদ্ধান্তেরও অপেক্ষা করছি", বলেন ওই মুখপাত্র।