Kolkata: আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন যে তাঁরা ডিনের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন
হাইলাইটস
- টানা ৬ দিন ধরে ছাত্রদের ঘেরাটোপে থাকার পর চুপিসাড়ে পালালেন ডিন
- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে টানা ৬ দিন ঘেরাও করে রাখা হয়
- হিন্দু হস্টেল মেরামতি সহ একগুচ্ছ দাবিতে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
কলকাতা: হিন্দু হস্টেলের (Hindu Hostel) এক এবং দু'নম্বর ওয়ার্ড খুললেও এখনও খোলেনি তিন, চার এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। অবিলম্বে ওই তিনটি ওয়ার্ড সংস্কারে হাত দিতে হবে, এই দাবি-সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। টানা ৬ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) নিজের কার্যালয়েই আটকে ছিলেন ডিন অরুণকুমার মাইতি। ফলে বুধবার তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত পড়ুয়ারা ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুপিসাড়ে পালাতে হল তাঁকে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে একটানা নিজের কার্যালয়ে আটক অবস্থায় ছিলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার ভোর তিনটে নাগাদ ক্যাম্পাস থেকে বের হন তিনি, সেই সময় তাঁর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত ৩০ জন বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
নিজের কার্যালয় থেকে সন্তর্পণে বেরিয়ে এসে কোনওরকমে গাড়িতে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অরুণকুমার মাইতি।
ফের ঘেরাও প্রেসিডেন্সির উপাচার্য Anuradha Lohia, ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়
বাড়ি যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন এই বিক্ষোভ আন্দোলনের মধ্যে পড়ে বেশ কিছুটা মানসিক চাপে রয়েছেন তিনি, যদিও এমনিতে সুস্থ আছেন প্রেসিডেন্সির ডিন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে বারংবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।
এদিকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন যে তাঁদের দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা ডিনের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
পড়ুয়াদের 'বোকা বানিয়ে' চেম্বারের পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য
কিছুদিন আগে ঘেরাও করে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে। পরে যদিও ঘেরাওমুক্ত হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের তিনি জানান যে সরকারের টাকা এলেই হিন্দু হস্টেলের তিনটি ওয়ার্ডের কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু কাজ শুরুর দিনক্ষণ বিষয়ে সদুত্তর তাঁর থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার বোর্ডে কেন পড়ুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই, তারও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি উপাচার্য।
তবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আন্দোলনের জেরে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলে কারও কারও মত। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ক্লাস হচ্ছে না। তবে এই দাবি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা পড়ুয়ারা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)