This Article is From Jul 18, 2019

"আইন মেনেই এগোবে পাকিস্তান", বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

"আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতির (আইসিজে) সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি যে তিনি কমান্ডার কুলভূষণ যাদবকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি পাকিস্তানের জনগণের চোখেও অপরাধী" ট্যুইট পাক প্রধানমন্ত্রীর

Kulbhushan Jadhav Case:"কুলভূষণ যাদব পাকিস্তানের জনগণের চোখেও অপরাধী" ট্যুইট পাক প্রধানমন্ত্রীর

নয়া দিল্লি:

ভারতের অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadav) বিরুদ্ধে পাক সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বিবেচনা করে দেখুক পাকিস্তান (Pakistan) , আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) জানালেন যে আইন অনুযায়ীই এ বিষয়ে অগ্রসর হবে তাঁর দেশ। "কুলভূষণ যাদবকে মুক্তি বা ভারতের হাতে ফেরত না দেওয়ার আইসিজের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি", ট্যুইটে ইমরান বলেন যে পাকিস্তানের জনগণের চোখেও অপরাধী কুলভূষণ যাদব। ভারতের অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে(Kulbhushan Jadhav) দেওয়া মৃত্যুদণ্ড অতি অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে, বুধবার রায়ে জানায় আন্তর্জাতিক আদালত। পাশাপাশি প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে কনস্যুলার অ্যাক্সেসও দেয় তাঁরা। আন্তর্জাতিক আদালত বলে, কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) মৃত্যুদণ্ড “ততক্ষণ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না, পাকিস্তান তাদের রায়,পুনর্বার খতিয়ে দেখা এবং পুনর্বিবেচনা করবে”।

পাকিস্তানকে আবশ্যিকভাবে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বলল আন্তর্জাতিক আদালত

ভারতের অভিযোগের সঙ্গে একমত হয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানায়, সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিককে কনস্যুলার অ্যাক্সেস না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক আদালত বলে, “সাজার ওপরে স্থগিতাদেশ, সাজা এবং দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করার অত্যাবশকীয় শর্ত”।

বুধবার আন্তর্জাতিক আদালতের ওই রায়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল, সত্য ও ন্যায়ের প্রকাশ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi) বলেন, ঘটনার ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত এবং তাঁর সরকার সর্বদাই প্রত্যেক ভারতীয়ের সুরক্ষার জন্য কাজ করবে। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi) লেখেন, “আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সত্য ও ন্যায়ের প্রকাশ ঘটেছে। ঘটনার ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতকে স্বাগত। আমি নিশ্চিত, কুলভূষণ যাদব বিচার পাবেন। আমাদের সরকার সবসময়েই প্রত্যেক ভারতীয়ের সুরক্ষার জন্য কাজ করবে”।

ভারতকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক আদালত রায় দেওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তান এই মামলায় তাঁদেরই জয় হয়েছে বলে দাবি করেছে। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি টুইট করেন: "যাদব পাকিস্তানেই থাকবেন। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী আচরণ করা হবে।"

“সত্য ও ন্যায়ের জয় হয়েছে”, কুলভূষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

২০১৬-এর মার্চে ৪৯ বছর বয়সী কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে তাঁরা, যদিও তা খারিজ করে দেয় ভারত। একবছর পর, কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার একমাস পরে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত। ২০১৭-এর মে তে, সেই সাজায় স্থগিতাদেশ আসে। পাকিস্তান দাবি করে, ২০১৬-এর ৩ মার্চ বেলুচিস্তান থেকে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে। ওদিকে ভারতের তরফে বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর, ইরানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদব (Kulbhushan Jadhav) , সেখান থেকেই তাঁকে অপরহরণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানিতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগও তোলে ভারত, যা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী।

এরপরেই ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে(Kulbhushan Jadhav) দেওয়া মৃত্যুদণ্ড অতি অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে পাকিস্তানকে, বুধবার নিজেদের রায়ে জানায় আন্তর্জাতিক আদালত।

.