Kulbhushan Jadhav: রবিবার কূলভূষণ যাদবের consular access পাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেয় পাকিস্তান।
নয়া দিল্লি: রবিবারই কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) কনস্যুলার অ্যাক্সেস পাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেয় পাকিস্তান। এবার সেই বিষয়েই আজ (সোমবার) কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলবেন ভারতের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে স্বাধীনভাবে কথা বলার ব্যাপারে সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে পাকিস্তান, এমনটাই আশাপ্রকাশ করছে সরকারি সূত্র। গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাক্তন নৌ আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে কূটনৈতিক সহায়তা (consular access) দেবে ভারত। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত জুলাইয়ে ইসলামাবাদকে কৃলভূষণকে (kulbhushan jadhav) কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়ার বিষয়ে এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ডের পর্যালোচনা করার ব্যাপারে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছিল। সরকারি সূত্র মারফৎ খবর, ভারত কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়ার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করবে। সূত্র জানিয়েছে, "ভারতের বৈদেশিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক গৌরব আলুওয়ালিয়া যাদবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আমরা আশা করি যে বৈঠকটি অবাধ, সুষ্ঠু, অর্থবহ করার ব্যাপারে পাকিস্তান সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং আইসিজের নির্দেশ মেনেই গোটা বিষয়টি কার্যকর করা হবে,"।
সোমবার কুলভূষণ যাদবকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা দিতে চলেছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি ট্যুইটে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের আইন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়, কূটনৈতিক সম্পর্কিত ভিয়েনা চুক্তি মেনে” কুলভূষণ যাদবকে কূটনৈতিক সহায়তা নিতে দেওয়া হবে। ২০১৭-এর এপ্রিলে কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। তারপর এই প্রথমবার তাঁকে কূটনৈতিক সহায়তা দেওয়া হবে। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পর, আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত, সেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতেরও আবেদন জানানো হয়।
ভারতের তরফে বলা হয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব, ইরানে তাঁর ব্যবসা রয়েছে, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক আদাতলের তরফে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে, কোনও চূড়ান্ত না দেওয়া পর্যন্ত যেন, তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হয়।
১৭ জুলাই, আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁর মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখা এবং পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয় এবং কোনওরকম দেরী না করে কুলভূষণ যাদবকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা দিতে বলা হয়।
কুলভূষণকে “মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানো” হোক, পাকিস্তানকে বলল ভারত
২০১৬-এর মার্চে ৪৯ বছর বয়সী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা তারা, যদিও তা খারিজ করে দেয় ভারত। একবছর পর, কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত।
প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার একমাস পরে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত। ২০১৭-এর মে তে, সেই সাজায় স্থগিতাদেশ আসে। পাকিস্তান দাবি করে, ২০১৬-এর ৩ মার্চ বেলুচিস্তান থেকে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে।
ভারতের তরফে বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর, ইরানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদব, সেখান থেকে তাঁকে অপরহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানিতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলভূষণ যাদবকে হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলে ভারত।