ICJ Kulbhushan Jadhav: ভারতের অভিযোগ, ইরান থেকে কুলভূষণ যাদবকে অপহরণ করে পাকিস্তান।
হাইলাইটস
- কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে পাকিস্তানের “বিচারের নামে প্রসহসন”কে চ্যালেঞ্জ ভারতের
- হেগে রাষ্ট্রসংঘের আদালতে সন্ধে সাড়ে ৬টায় মামলার রায়দান
- ২০১৬-এর মার্চে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান
নয়াদিল্লি:
Kulbhushan Jadhav Case: প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে ভারতের করা আবেদনের ভিত্তিতে আজ রায়দান করবে আন্তর্জাতিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছিল পাকিস্তান। কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে পাকিস্তানের “বিচারের নামে প্রহসন”কে চ্যালেঞ্জ করে ভারত, তাদের যুক্তি পাকিস্তানের দাবি, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ স্বীকারোক্তি। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের আর্জি, কুলভূষণ যাদবকে দেওয়া সাজা রদ করা হোক এবং তাঁকে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক। হেগের রাষ্ট্রসংঘের আদালতে ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬ টায় রায় পড়ে শোনাবেন বিচারপতি।
এখানে পড়ুন ১০টি তথ্য:
২০১৬-এ মার্চে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। একবছর পর, পাকিস্তানের সেনা আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।
মৃত্যুদণ্ডের একমাস পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করে ভারত এবং ২০১৭-এর মে তে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের দাবি, ইরান থেকে ঢোকার পর, তাদের সেনাবাহিনী কুলভূষণ যাদবকে ২০১৬-এর ৩ মার্চ, বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে।
ভারতের যুক্তি, নৌসেনা থেকে ব্যবসার কাজে ইরান গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদব, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক আদালতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলভূষণকে হাইকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তোল, যা ভিয়েনা চুক্তির পরিপন্থী।
পাকিস্তানের পাল্টা যুক্তি, কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে চারদিনের শুনানি হয় আন্তর্জাতিক আদালতে, সেই সময়েই জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে হামলা হয়, ঘটনায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
ভারতের অভিযোগ, স্বভাবমতোই, নিজেদের দেশের সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়ার মতো কাজকে আড়াল করতে কুলভূষণ যাদবকে “দাবার বড়ে” হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান।
ভারতের আরও অভিযোগ, ২০১৭-এর ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে দেখা করতে গেলে, কুলভূষণের মা ও স্ত্রী-কে হেনস্থা করে পাকিস্তান।
ভারতের তরফে আরও বলা হয়, ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা “পাকিস্তানের প্রচারের পুনরাবৃ্ত্তি” এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনকে “পাকিস্তানে তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ জিইয়ে রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে”।
Post a comment