নয়াদিল্লি: সোমবার এই প্রথমবার পাকিস্তানের (Pakistan) জেলেবন্দি ভারতীয় আধিকারিক কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় কূটনীতিক। প্রাক্তন এই ভারতীয় আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর, বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, “পাকিস্তানের শেখানো কথা বলতে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে কুলভূষণ যাদবকে”। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, “যখন আমরা বিস্তারিত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি, এটা পরিস্কার যে, পাকিস্তানের অগ্রাহ্য কিছু দাবিদাওয়া প্রতিষ্ঠা করতে তাঁদের সাজানো মিথ্যা কথা বলার চাপ দেওয়া হচ্ছে কুলভূষণ যাদবকে। আমাদের উপরাষ্ট্রদূতের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার পরে, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব আমরা, এবং আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখব”।
কূটনৈতিক সহায়তা দিতে কুলভূষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতীয় আধিকারিক
কয়েক সপ্তাহ আগেই, আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে কুলভূষণ যাদবকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা নিতে দেওয়া এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর, সোমবার কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন ভারতীয় কূটনীতিক গৌরব আলুয়ালিয়া।
২০১৭ এর এপ্রিলে কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত।তার একমাস পর, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি ট্যুইটে বলা হয় “পাকিস্তানের আইন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়, কূটনৈতিক সম্পর্কিত ভিয়েনা চুক্তি মেনে” কুলভূষণ যাদবকে কূটনৈতিক সহায়তা নিতে দেওয়া হবে। ২০১৭-এর এপ্রিলে কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পর, আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত, সেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতেরও আবেদন জানানো হয়।
ভারতের তরফে বলা হয়, একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব, ইরানে তাঁর ব্যবসা রয়েছে, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে, কোনও চূড়ান্ত না দেওয়া পর্যন্ত যেন, তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হয়।
১৭ জুলাই, আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁর মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখা এবং পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয় এবং কোনওরকম দেরী না করে কুলভূষণ যাদবকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা দিতে বলা হয়।