বিতর্কে জড়িয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। দলীয় নেতার খুনিকে নির্মম ভাবে খুন করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের কথা বললেন কী করে তা নিয়ে কার্যত হৈ চৈ পড়ে গিয়েছে। বিতর্কের মুখে নিজের সপক্ষে অনেক গুলি যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেছেন তিনি। শেষমেশ কুমারস্বামী বলেছেন মুখ ফসকে এমন কথা বলে ফেলেছেন। তাঁর দল জনতা দল সেকুলারের এক স্থানীয় নেতার খুনের তাঁর সেই নির্দেশ ধরা গেল ভিডিও রেকর্ডারে। তাতে কুমারস্বামীকে বলতে শোনা যায়, "শুনুন, উনি (এইচ প্রকাশ) অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমি জানি না তাঁকে এইভাবে কে বা কারা হত্যা করল। কিন্তু যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাকে খুঁজে বের করে নির্দয়ভাবে গুলি করে মারুন। আমি বলছি। আমি বলছি, তাতে কোনও সমস্যা হবে না", স্থানীয় সাংবাদিকের তোলা ভিডিওতে তাঁর এই বার্তা ধরা পড়ে।
দায় নেওয়া প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য গড়করির, লক্ষ্য অমিত, দাবি রাজনৈতিক মহলের
সমালোচনার উত্তর দিতে গিয়ে সোমবার কুমারস্বামী বলেন, এটি 'আবেগের বহিপ্রকাশ' ছাড়া আর কিছুই নয়। এটাকে আমার নির্দেশ বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। আমি প্রকাশের ওইভাবে মৃত্যুর খবর পেয়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তারা (হত্যাকারীরা) এর আগে দুটি খুনের জন্য জেলে গিয়েছিল। দু'দিন আগেই জামিনে ছাড়া পেয়ে জেল থেকে বেরোয়। তারপরই এই ঘটনা। আর আজ তিনি বলেন আমি আবেগের বশে কথা বলছিলাম। মুখ ফসকে এমন কথা বেরিয়ে গিয়েছে।
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, কুমারস্বামীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাঁর কটাক্ষ রাজ্যে কৃষকদের মৃত্যু হলে মুখ্যমন্ত্রী অবিচল থাকেন আর এই ঘটনায় তাঁকে আবেগ গ্রাস করল! অন্যদিকে কর্নাটকে জেডিএস সরকারের বড় শরিক কংগ্রেস এই মন্তব্য থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ রাও বলেন আমরা এ ব্যাপারে কথা বলব না। আমরা মনে করি বি এসের তোলা অভিযোগের জবাব কুমারস্বামী একাই দিতে পারবেন।