Read in English
This Article is From Feb 13, 2019

রাজীবের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে নৈতিক জয় দেখছে কুণাল

সারদার চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত কিছুটা গতি পেয়েছে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই শিলংঙে  গিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে।

Advertisement
সিটিস

সারদা মামলায় দীর্ঘদিন জেল থেকে জামিন পান কুণাল।

Highlights

  • রাজীবের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে নৈতিক জয় দেখছে কুণাল
  • রাজীব কুমারের ভূমিকা নিয়ে এর আগেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল
  • সেই কারণেই দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই
কলকাতা:

সারদার চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত কিছুটা গতি পেয়েছে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই শিলংঙে  গিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে।  সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষও।  সারদা মামলায় দীর্ঘদিন জেল থেকে জামিন পান কুণাল। কিন্তু সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মামলার বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান রাজীব কুমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন  কুণাল।  সেই কারণেই দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদ করে  সিবিআই।  সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম উঠে আসে।  কুণালের  দাবি তাঁদের  সঙ্গে যোগাযোগ   করেছেন রাজীব।  আর সে কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। এই মর্মে সিবিআইয়ের কাছে  লিখিত  অভিযোগও  দায়ের করেছেন তিনি।       

 আরও পড়ুনঃ আজ দিল্লির যন্তরমন্তরের সমাবেশে মমতা  

একটা সময়  বিশেষ তদন্তকারী দল তৎকালীন সাংসদ কুণালকে গ্রেফতার করে।  সে সময় নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চেয়েছিলেন কুণাল।  কিন্তু তার দাবি তখন রাজীব  তাঁকে  সেই সুযোগ দেননি।  আর এখন সেই রাজীবকে তাঁর  সঙ্গে মুখোমুখি জেলায় বসতে হয়েছে। এই ঘটনায় নৈতিক  জয়  দেখছেন  কুণাল।  কলকাতা ফিরে এসে বিমানবন্দরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন,  যখন নিজের কথা বলতে চেয়েছিলাম  তখন   সেই সুযোগ রাজিব আমায় দেননি  আর আজ তাঁকেই আমার সঙ্গে মুখোমুখি বসতে হয়েছে।  এটা  আমার  নৈতিক  জয়। 

Advertisement

সূত্রের খবর কুণালের সঙ্গে  মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে রাজীব একবার জানান, সিটের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও সারদা  তদন্তে  তাঁর  তেমন কোনও ভূমিকা  ছিল না। বেশির ভাগ  তদন্ত  থানাই করেছে। শুধু  তাই  নয়  কলকাতার পুলিশ  কমিশনার দাবি  করেন তৎকালীন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা  প্রধান অর্ণব ঘোষ-ই তদন্তের কাজ বেশি দেখভাল করতেন।  কয়েকটি  বিষয়ে  দু'জন দু'রকম কথা বলেন। কিন্তু কেউ  সংঘাতের পথ  ধরেননি। রাজীব একবার কথোপকথনের রেকডিং থামিয়ে  দিয়ে কুণালের বক্তব্য সত্য  কিনা জানতে পরীক্ষা করার অনুরোধ  করেন। সিবিআই বলে  কুমারের উপরেও সেই এক পরীক্ষা করা হবে।   

 

Advertisement
Advertisement