This Article is From Apr 06, 2020

লকডাউনের মাঝেই সেনার বিশেষ শাখার হাতে খতম পাঁচ পাক জঙ্গি

গুলির লড়াই চলে প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে। গুলির লড়াইয়ে পাঁচ জঙ্গিই খতম হয়। শহিদ হন ওই স্কোয়াডের পাঁচজন সেনাও।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

বরফে ঢাকা প্রান্তরে ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে খতম হল পাঁচজন পাক জঙ্গি।

Highlights

  • কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় খতম হল পাঁচজন পাক জঙ্গি
  • তবে সেই সঙ্গে শঙিদ হয়েছে পাঁচ ভারতীয় জওয়ানও
  • সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এটাই ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এনকাউন্টার
New Delhi:

ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Control) সাম্প্রতিক কালের মধ্যে অন্যতম বড় এনকাউন্টারে কাশ্মীরের (Kashmir) বরফে ঢাকা প্রান্তরে ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে খতম হল পাঁচজন পাক জঙ্গি (Pak Terrorists)। ওই জঙ্গিরা প্রভূত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে, এনকাউন্টারে ওই বিশেষ শাখার ভারতীয় সেনাদের পাঁচজনই অপারেশনের সময় শহিদ হয়েছেন। NDTV-র কাছে যে বিস্তারিত তথ্য মিলেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, ১ এপ্রিল নিয়ন্ত্রণরেখায় পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়ার পরই সেখানে সেনার বিশেষ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। বরফে ঢাকা পড়েছিল নিয়ন্ত্রণরেখার সীমানা। জানা গিয়েছে, ভারী তুষারপাতের কারণে ওই এলাকা বাকি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

সূত্রানুসারে, গত দু'দিন ধরে বৃষ্টি পড়তে থাকায় তার সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল ওই জঙ্গিরা।

তল্লাশি বাহিনী ওখানে তল্লাশি শুরু করার পর ১ এপ্রিল বেলা ১টায় জঙ্গিদের সন্ধান পায় সেনারা। তাদের পাঁচটি ব্যাগ উদ্ধার হলেও জঙ্গিদের কোনও পাত্তা পাওয়া যায়নি। এরপর অতিরিক্ত বাহিনী এনে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়।

Advertisement

গত ৩ ও ৪ এপ্রিল যথাক্রমে বিকেল সাড়ে চারটে ও সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টায় আবার তল্লাশি চালানো হয়। এরপর পরিস্থিতি বুঝে ডাক পড়ে প্যারা স্পেশাল ফোর্সের।

সূত্র জানাচ্ছে, ৫ এপ্রিল ভোর হতে না হতেই পায়ের ছাপ অনুসরণ করে একটি স্কোয়াড এগিয়ে চলে। কিন্তু বরফের কারণে বোঝা সম্ভব হয়নি সামনেই কার্নিশ ছিল। শেষ পর্যন্ত কার্নিশ ভেঙে সেনারা নদীর জলে পড়ে যান। সেখানেই লুকিয়েছিল জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রায় ব্ল্যাক পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে।

Advertisement

গুলির লড়াইয়ে পাঁচ জঙ্গিই খতম হয়। কিন্তু পাশাপাশি শহিদ হন ওই স্কোয়াডের পাঁচজন সেনাও। সেনা ও জঙ্গিদের দেহগুলি দুই থেকে তিন মিটার দূরত্বের মধ্যেই পড়েছিল। 

Advertisement