নয়া দিল্লি: লাদাখ (Ladakh face-off) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেভাবে ভারত ও চিনের মধ্যে (India-China border) সীমান্ত এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতেই ওই বৈঠক ডাকলেন তিনি (PM Narendra Modi)। বুধবার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে এক টুইটের মাধ্যমে জানানো হল একথা।
সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।
গোটা ঘটনার জন্যে চিন ভারতীয় সেনাদের অসহিষ্ণু আচরণকে কাঠগড়ায় তুললেও ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চিনকেই দায়ী করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"।