हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jun 30, 2020

লাদাখ সমস্যার সমাধান খুঁজতে ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সামরিক পর্যায়ে বৈঠক

India China Face off: ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, ভারতের তরফে বলা হয়, ওই সংঘর্ষের জন্যে দায়ী চিনা আগ্রাসন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Ladakh Clash: ভারত-চিন সামরিক স্তরে ফের আলোচনা (প্রতীকী চিত্র)

Highlights

  • দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ফের আলোচনা
  • মঙ্গলবার ভারত ও চিনের সামরিক পর্যায়ের আলোচনা
  • ২ মে তারিখের আগের পরিস্থিতি ফিরুক সীমান্তে, দাবি ভারতের
নয়া দিল্লি:

দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা (India China Face off) কমানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার ফের ভারত এবং চিনের মধ্যে সামরিক স্তরের বৈঠক হতে চলেছে। পূর্ব লাদাখে (Ladakh Clash), দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা যথেষ্টই আশঙ্কার। তাই সমাধানের লক্ষ্য়েই মুখোমুখি বসতে চলেছেন দু'দেশের সামরিক কর্তারা। এর আগেও অবশ্য এই ধরণের বৈঠক হয়েছে, যেখানে কড়া অবস্থান গ্রহণ করে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, ২ মে তারিখের আগে ভারত-চিন (India-China) সীমান্তে যে অবস্থা ছিল সেই পরিস্থিতিই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। মাসের আগের পরিস্থিতি উপকণ্ঠে পুনরুদ্ধার করা হোক। তবে আজ (মঙ্গলবার) চিনের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে, লে-তে কর্তব্যরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর চৌদ্দ কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং তিব্বতে কর্তব্যরত চিনা সেনার সামরিক কমান্ডার লিউ লিনের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন। 

প্যাংগংয়ের বিতর্কিত অঞ্চলগুলি ঠাঁই পেল চিনের মানচিত্রে, নতুন করে উত্তেজনা

আজকের (৩০ জুন, মঙ্গলবার) বৈঠকে, ২২ জুন, সামরিক স্তরের বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয় সেগুলোই ফের পর্যালোচনা করা হবে। ভারত-চিন, উভয় পক্ষই উত্তেজনা কমাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরবে মঙ্গলবারের বৈঠকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সেই এলাকাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে যেগুলো নিয়ে দুই দেশের সেনার মধ্যে বিরোধ ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

টিকটক সহ ৫৯ টি চাইনিজ অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার

১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ভারতের তরফ থেকে বলা হয়, ওই সংঘর্ষের জন্যে দায়ী চিনা আগ্রাসন। ওই সংঘর্ষের কিছুদিন আগেই ৬ জুন, দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে এক বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনায় ঠিক হয়,  চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে। সেই কাজ খতিয়ে দেখতেই শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ, মারা যান এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান।

Advertisement

এরপরেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"।

Advertisement

Advertisement