This Article is From Jun 19, 2020

চিনা প্রেসিডেন্ট "কিম জং উনের" কুশপুতুল পুড়িয়ে বিতর্কে আসানসোলের বিজেপি নেতা

বিক্ষোভে পোড়ানো হয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুত্তলিকা। শহর ঘোরানো হয় তাঁর কুশপুতুল। ওঠে চিনা পণ্য বর্জনের ডাক

চিনা প্রেসিডেন্ট

ফাইল ছবি।

আসানসোল:

নাম বিভ্রাটে বিতর্কে জড়ালেন আসানসোল বিজেপির (Asansol BJP) এক নেতা। সীমান্তে চিন আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ডাক দিয়েছিল আসানসোল বিজেপি। সেই বিক্ষোভে পোড়ানো হয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jingpin) কুশপুত্তলিকা। শহর ঘোরানো হয় তাঁর কুশপুতুল। ওঠে চিনা পণ্য বর্জনের ডাক। এত অবধি ঠিক ছিল! কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই নেতা কিম জন উংকে চিনা প্রধানমন্ত্রী বলে সরব হয়েছিলেন। আর এতেই বাড়ে বিতর্ক। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে (Kim Jong Yun) সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্টের নাম গুলিয়ে এখন বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা। 

এদিকে, গালওয়ান সংঘাতে লাল ফৌজের হাতে আটক ১০ জওয়ান ফিরে এসেছেন ভারতীয় শিবিরে। এই ১০ জনের মধ্যে ৪ জন সেনা আধিকারিক। সোমবার পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া এই সংঘাতে ২০ জওয়ান শহিদ হয়েছেন, ৫০-এর বেশি জওয়ান জখম হয়ে চিকিৎসাধীন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর চিনের তরফে হতাহত প্রায় ৪৫। সেই ঘটনার পর থেকেই দ্বিপাক্ষিকস্তরে মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের প্রস্তাবনা  মেনে ছাড়া হয়েছে সেই ১০ ভারতীয় জওয়ানকে। এমনটাই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছিল, সেদিনের সংঘাতে ভারতীয় তরফে কোনও জওয়ান নিখোঁজ নেই। প্রত্যেকেই শিবিরে ফিরেছেন। জানা গিয়েছে, কমবেশি ৭৬ জন জওয়ান জখম হয়ে চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা ফের কাজে যোগ দিতে পারবেন। এদিকে, চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ""আমরা কোনও ভারতীয় জওয়ানকে আটকে রাখেনি।" সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি।  

এদিকে, সোমবার সন্ধেবেলা লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার যে সংঘর্ষ বাঁধে তাতে শুধু যে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছেন তাই নয়, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৬ জন। ভারতীয় সেনা আধিকারিকরাই NDTV-কে জানিয়েছেন একথা। তবে আশার কথা এটাই যে, ওই আহত জওয়ানদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল এখন। সীমান্ত সংঘর্ষের সময় আহত সেনাদের মধ্যে ১৮ জন লে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকি ৫৬ জনের চিকিৎসা চলছে অন্যান্য হাসপাতালে। তবে তাঁরা যেভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তাতে আশা করা হচ্ছে যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা, জানিয়েছেন এক সেনা আধিকারিক।

.