গালোয়ানে শহিদ (Galawan Martyrs) ২০ জওয়ানদের মধ্যে বাংলার দু'জন আছেন
কলকাতা: গালোয়ানে শহিদ (Galawan Martyrs) ২০ জওয়ানদের মধ্যে বাংলার দু'জন আছেন। বীরভূমের রাজেশ ওরাং আর আলিপুরদুয়ারের বিপুল রায়। সোমবারের গালোয়ান উপত্যকা সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই দুই শহিদ পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। এমনটাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "স্বজনহারা পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি শহিদদের মধ্যে দু'জন রাজ্যের বাসিন্দা। বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকার বেলগরিয়া গ্রামের সেটাই রাজেশ ওরাং। আর আলিপুরদুয়ারের শামুকতলার বিন্দিপাড়া গ্রামের বিপুল রায়।" তিনি লিখেছেন, "কোনও ক্ষতিপূরণ এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। আমরা এই সংকটের সময়ে এই বীর যোদ্ধাদের পাশে আছি।"
লাদাখে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের জীবন বৃথা যাবে না। অবশেষে মুখে খুলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচনা দিলে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে ভারত।" তিনি জানিয়েছেন, দেশ শহিদ জওয়ানদের প্রতি গর্বিত। চিনের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকের আগে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা সয়। এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি আশ্বাস দিতে চাই শহিদদের জীবন বৃথা যাবে না। সার্বভৌমত্ব আর একতা এখন আমাদের প্রাধান্য।" ইতিমধ্যে ১৯ জুন বিকেল পাঁচটায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সেই বৈঠক হবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান সেই বৈঠকে অংশ নেবেন।
সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)