This Article is From Dec 24, 2019

মধ্য দিল্লির মাণ্ডি হাউজের কাছে বড় কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা

Citizenship Act protests: মঙ্গলবারই নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে

মধ্য দিল্লির মাণ্ডি হাউজের কাছে বড় কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা

CAA: জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান

হাইলাইটস

  • জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ফের পথে নামছেন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে
  • যদিও বিক্ষোভ-সমাবেশের অনুমতি মেলেনি দিল্লি পুলিশর তরফে
  • অশান্তি এড়াতে দিল্লির মাণ্ডি হাউজ এলাকায় বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা
নয়া দিল্লি:

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ (Citizenship Act protests) আটকাতে মধ্য দিল্লির (Delhi) মাণ্ডি হাউজের কাছে বড় কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবারই নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ বিরুদ্ধে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই বিক্ষোভ আটকাতেই ওই নিষিদ্ধকরণের ঘোষণা। সপ্তাহ খানেক আগে এই জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে বিক্ষোভের ঝড় আছড়ে পড়ে। ওই দিনই কিছু বহিরাগতের আগমনে সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ পায় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইঁট ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ে পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ওঠে পাল্টা অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) মধ্য দিল্লিতে এক বিশাল মিছিল করার পরিকল্পনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে, ওই বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি মেলেনি বলে খবর। তবে পড়ুয়ারা ওই কর্মসূচির ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ভিতরে ঢুকে পড়ুয়াদের আটক করে পুলিশ, পরে যদিও ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। অথচ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে সেখানকার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। পুলিশ যদিও জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা করা দরকার ছিল তাঁরা তাই করেছে।

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে, অসংখ্য মানুষ শীতকে উপেক্ষা করে মধ্যরাতেই দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের বাইরে জড়ো হন। পুলিশি সদর দফতরের বাইরের মূল রাস্তাটি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদকারীরা। পরে ভোরের দিকে আটক করা ছাত্রছাত্রীদের মুক্তি দেওয়া হয়।

দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তাঁরা বিক্ষোভের নামে অবাধে ভাঙচুর চালায় ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময়েই পুলিশ এলে তাঁদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে (Citizenship Amendment Act Protest) আটক করে।

.