हिंदी में पढ़ें
This Article is From Nov 16, 2019

Lata Mangeshkar: মাত্র ২৫ টাকা উপার্জন থেকে নানা অজানা কথা লতার জীবনের

ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক নক্ষত্র।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Lata Mangeshkar: প্রথম বার মঞ্চে গাওয়ার জন্য লতা ২৫ টাকা উপার্জন করেছিলেন।

নয়াদিল্লি:

ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক নক্ষত্র। সুর সম্রাজ্ঞী লতাজিকে নানান সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। লতা মানেই কোকিলকণ্ঠী। মিষ্টি মধুর কন্ঠী লতার আওয়াজে বুঁদ আসমুদ্র  হিমাচল। লতা একমাত্র জীবিত ব্যক্তিত্ব যার নামে পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার শুনুন লতার সম্পর্কে নানান অজানা কথা।

আরও পড়ুন Dengue 2019: ডেঙ্গি কি আদৌ আতঙ্কের ! কী পরামর্শ চিকিৎসকের?​

লতার জীবনের নানা অজানা কথা: 

১. লতা মঙ্গেশকরের প্রথম নাম হেমা। ১৯২৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী তার বাবার নাম দীননাথ মঙ্গেশকর, যিনি একজন নাট্য অভিনেতা ও গায়ক ছিলেন।
আগের নাম হেমা থাকলেও বাবার "ভাব বন্ধন" নাটকে "লতিকার" চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা।

অভিষেক 'কু-পুত্র'! ছেলেকে নিয়ে Tweet-এ বিস্ফোরক বিগ বি

২. যতীন্দ্র মিশ্রর বই "লতা সুর গাথা" তে লতা বলেছেন..তাকে ভেবে, "সত্যম শিবম সুন্দরমের" চিত্রনাট্য লিখেছিলেন রাজ কাপুর। "অনেক আগে উনি চেয়েছিলেন মুখ্য ভূমিকায় আমি অভিনয় করি। আমার ইচ্ছে না থাকায় আমি না করে দিয়েছিলাম ওই প্রস্তাবে। যদি ছবি তৈরিতে কোনও বাধা হয় নি।অনেক পরে ৮০ র দশকে যখন আবার ছবিটি বানাবার কথা ভাবেন তখন জিনাত আমান কে নেন ছবিতে।"

Advertisement

শিশু দিবসের আবদার! দু-হাত বাড়িয়ে কী বলছে সিংহ শাবক?

৩. লতাজির প্রথম উপার্জন ছিল ২৫ টাকা । প্রথম বার মঞ্চে গাওয়ার জন্য লতা ২৫ টাকা উপার্জন করেছিলেন।লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি 'কিটি হাসাল' এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর এবং বোন ঊষা মঙ্গেশকর, মিনা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে সকলেই সঙ্গীতজ্ঞ। 

৪. বলিউডে লতা মঙ্গেশকরকে নিজের ছোট বোনের মত দেখতেন দিলীপ কুমার। আবার লতাও দিলীপ কুমারকে সব থেকে কাছের মানুষ মনে করতেন ইন্ডাস্ট্রিতে। একবার দিলীপ কুমার লতার উপর খুব রেগে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে লতা নিজের প্রথম প্রোগ্রাম করছিলেন, যেখানে অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য দিলীপ কুমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দিলীপ কুমার নিজের কাজ ভীষণ মন দিয়ে করতেন এবং ছোট ছোট বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিতেন। পাকিজা ছবির গান "ইনহি লোগো নে লে লি দুপাট্টা মেরা" এই গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে নিমরাজি ছিলেন তিনি। লতাজিকে দিলীপ কুমার প্রশ্ন করেছিলেন, " অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই গানটি কেন করতে চাইছেন আপনি?" লতা তখন দিলীপ কুমারকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন যে এই গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান এবং মানুষ এটি শুনতে চাইছেন। কিন্তু তখন দিলীপ কুমারকে কোনভাবেই বোঝানো যায়নি। তিনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন।

৫. যতীন মিশ্রর বই, "লতা সুর গাথা"তে লতাজি বলেছেন, "প্রায়ই রেকর্ডিং করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আমি আর ভীষণ খিদে পেত আমার। তখন রেকর্ডিং স্টুডিওতে ক্যান্টিন থাকতো, তবে নানা রকম খাবার পাওয়া যেত কি না? সে বিষয়ে আমার মনে নেই। তবে চা-বিস্কুট খুঁজে পাওয়া যেত তা বেশ মনে আছে। সারাদিনে এক কাপ চা আর দু চারটে বিস্কুট খেয়েই সারাদিন কেটে যেত। এমনও দিন গেছে যে দিন শুধু জল খেয়ে সারাদিন রেকর্ডিং করছি , কাজের ফাঁকে মনেই আসেনি যে ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে আসতে পারি। সারাক্ষণ মাথায় এটাই ঘুরতো যেভাবে হোক নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে।"
 

Advertisement
Advertisement