শবরীমালাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমশ। গতকাল গোটা রাজ্যের একাধিক জেলায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ বেধেছে। বাদ যায়নি খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের বাস ভবন। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে হিন্দু সংগঠনের বেশ কিছু কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া কোচি, কোঝিকোর, মালাপ্পুরাম, তিরুওন্তপুরম, কোল্লাম, রান্নি, কালাদি এবং লুদ্দিকি জেলার বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সমস্ত বয়সের মহিলারাই প্রবেশ করতে পারবেন আয়াপ্পা ভগবানের এই মন্দিরে। সেই মতো মহিলারা মন্দিরের দিকে অগ্রসর হতেই গোলমাল দেখা দিচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষ। আর সে কারণেই রবিবার রাত থেকে মন্দির চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মাঝে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আয়াপ্পা ভগবানের মন্দির শবরীমালা যাওয়ার পথে বিজেপি নেতাকে বাধা দেয় পুলিশ। পরে গ্রেফতার হন ওই নেতা। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় পথ অবরোধ। শবরীমালা থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থিরুভালা শহরে পথ অবরোধ শুরু করেন শ'দেড়েক বিজেপি কর্মী। প্রতিবাদ শুরু হতেই ধরপাকড় শুরু করেছে প্রশাসন। গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেতারা। প্রথমেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কে সুরেন্দ্রণ। নিলাক্কাল জেলা থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে হিন্দু সংগঠনের এক নেতা কে পি শুক্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ হয়। কেরালায় ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটও পালিত হয়। গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। অভিজ্ঞ অফিসারদের সামনে রেখে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে পিনরাই প্রশাসন।