ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিভাগের বিজ্ঞানীরাও ওই এলাকা পরিদর্শন করেন
আগরতলা: ত্রিপুরার জালিফা গ্রামে মাটি থেকে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো জ্বলন্ত তরল পদার্থ বেরিয়ে আসার ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ভয়ানক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হওয়ায় ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই লাভা তরল নির্গমনের বিষয়টি। এই বছর এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এই রাজ্যে।
এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি, সুনরুমের বৈষ্ণবপুর ও ঘাগরাবস্তি নামক দুটি স্থানে, আগুন ও গ্যাসের পাশাপাশি লাভা-মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে এসেছিল। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় জালিফার স্থানীয় গ্রামবাসীরা রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পোলের নিচের অংশ থেকে লাভা জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বিষয়টি অগ্নি নির্বাপক দল ও স্থানীয় পুলিশকে জানায়।
অগ্নিনির্বাপকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং জল ও ফোম ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা, কিন্তু ক্রমাগত ওই অগ্ন্যুত্পাত থামাতে ব্যর্থ হন। ওই লাভা জাতীয় পদার্থ এলাকাটি পুড়িয়ে ফেলেছিল।
ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিভাগের বিজ্ঞানীরাও ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এলাকাটি পরীক্ষা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণ করার পর, তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে মাটির বাইরে বেরিয়ে আসা আগুন, ধোঁয়া এবং অন্যান্য উপকরণ আসলে সেই অঞ্চলের মধ্যবর্তী ভূগর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটগুলির স্থানচ্যুতির ফলে সৃষ্ট। এই চ্যুতির ফলে বিশাল পৃষ্ঠীয় তাপ তৈরি হয়।
ত্রিপুরা স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের বিজ্ঞানী অভিষেক চৌধুরী, এই বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, লাভা বা সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ রাজ্যে পূর্বে ভূমিকম্পের নজির রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)