দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন।
হাইলাইটস
- জর্জ ফার্নান্ডেজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল
- টুইটে মোদী লেখেন, মানুষের জন্য কাজ করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অকুতোভয়
- জরুরি অবস্থার সময়ে জেলে গিয়েছিলেন আর জেল থেকেই জিতেছিলেন নির্বাচনে
নিউ দিল্লি: সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ জর্জ ফার্নান্ডেজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সকলেই প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। টুইটে মোদী লেখেন, ভারতের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জর্জ সাহেব। মানুষের জন্য কাজ করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। গরিব মানুষের দাবির জন্য আজীবন সোচ্চার ছিলেন তিনি। ফেসবুকে রাহুল লেখেন এই খবরটা শুনে খারাপ লাগছে। তাঁর পরিবার- পরিজনেদের প্রতি সমবেদনা জানাই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চলে যাওয়ার খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। কয়েক দশক ধরে আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। এছাড়া দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন।
আরও পড়ুনঃ ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ
গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে রাজনীতিতে প্রচারের আলোয় আসেন জর্জ। ১৯৬৭ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁর কথা জানতে পারে গোটা দেশ। সেই ভোটে অপ্রত্যাশিত ভাবে জিতে চান তরুন জর্জ। এরপর থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ হয়ে উঠেছেন তিনি। দেশের প্রথম অ কংগ্রেসি সরকারে মন্ত্রী হন। পরে আবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে প্রতিরক্ষা দপ্তর পান। পরে অবশ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েও দিতে হয়েছিল তাঁকে।
এ সবের অনেক আগে গোটা দেশে জুড়ে রেল ধর্মঘটও ডেকেছিলেন এই নেতা। জরুরি অবস্থার সময়ে জেলে গিয়েছিলেন আর জেল থেকেই জিতেছিলেন নির্বাচনে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন জর্জ। আর তাই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সমস্ত মহল।