রাহুল গান্ধিকে কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে দলে রব উঠেছে। (ফাইল চিত্র)
নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার (UPA-2 government), গত ছ'বছর ধরে কংগ্রেসের অধঃপতনের কারণ। সনিয়া গান্ধির সামনেই এই অভিযোগে সরব দলের তরুণ ব্রিগেড (Young v/s veteran leaders in Congress)। কংগ্রেস সাংসদদের নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয় ইউপিএ আমলের অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই প্রাক্তন মন্ত্রীরাই নবী বনাম প্রবীণ দ্বন্দ্ব উসকে কংগ্রেসের কলহ আরও বাড়িয়েছে। তরুণ কংগ্রেস নেতাদের অনেকের দাবি, "দ্বিতীয় ইউপিএ আমলের যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে ছিল, তাঁরাই কংগ্রেসের এই অধঃপতনের দায় নিক।" একটা অংশের আবার বক্তব্য, "অবিলম্বে শীর্ষ পদে ফেরানো হোক রাহুল গান্ধিকে।" যদিও এই বাকবিতণ্ডার মধ্যেও ইউপিএ আমলের দু'বারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে একটা শব্দও করতে দেখা যায়নি। চার ঘণ্টার এই বৈঠকে নীরব ছিলেন তিনি।
এবিষয়ে দলের অন্যতম তরুণ মুখ রাজীব সতবের দাবি, "২০১৪ থেকে কী করণীয় কংগ্রেসের এই অধঃপতন, খতিয়ে দেখা হোক।" তাঁর সুরে সুর মেলাতে দেখা গিয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বলকে।
এদিকে, রাজস্থান কংগ্রেসের বিক্ষোভ মেটার আগেই অভিনব বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কংগ্রেস সভানেত্রী। "রাহুল গান্ধিকে শীর্ষ পদে ফিরিয়ে আনো", এই শ্লোগানে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদরা। সেই তালিকায় নাম দেখালেন কপিল সিব্বল ও শশী থারুর। বৃহস্পতিবার সনিয়া গান্ধি দলের কৌশল রচনায় সংসদের দুই কক্ষের সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেখানেই এই স্লোগান ওঠে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি। আর শীর্ষপদে ফিরবেন না, এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পদত্যাগপত্রে। তারপর একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসে প্রবীণ বনাম নবীন দ্বন্দ্বে ফাটল চওড়া হয়েছে। যে তালিকায় শেষ সংযোজন মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। এই পরিস্থিতিতে দলের তরুণ মুখ রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী প্রচার জোরদার করতে উদ্যোগী কংগ্রেস শিবির। সেই উদ্যোগের সূত্র ধরে রাহুল গান্ধিকে ফের সভাপতি হিসেবে ফিরে পেতে এদিন সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা।
এই বৈঠকে সাংসদরা ছাড়াও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন কেসি বেণুগোপাল, ভূপিন্দর হুডারা। তারাই একদম নীচুস্তর থেকে কংগ্রেস আমূল বদলের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও দলের প্রবীণ শিবিরের অন্যতম মুখ তথা গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ আহমেদ প্যাটেল প্রবীণ-নবীন মিশ্রণের পক্ষেই সওয়াল করেন।
যদিও এই মিশ্রণ একাধিক রাজ্যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে দলে। এমনটাই দাবি কংগ্রেস সাংসদদের।