This Article is From Jan 01, 2019

বিজেপি বিরোধী জোটে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের বাম নেতারা

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি  বিরোধী জোটে নিজেদের অবস্থান কী হবে তা  নিয়ে  চিন্তায় রাজ্যের বাম নেতারা।

বিজেপি  বিরোধী জোটে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের বাম নেতারা

অতীতে বহুবার কেন্দ্রের সরকার ঠিক  করার ক্ষেত্রে বড়  ভূমিকাও নিয়েছে বামেরা।

হাইলাইটস

  • বিজেপি বিরোধী জোটে নিজেদের অবস্থান নিয়ে চিন্তায় বামেরা
  • সিপিআই মনে করে এখনও বামেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় আছে
  • ভোটে একা লড়লেই ভাল জায়গায় পৌঁছতে পারবে বামেরাঃ ফরওয়ার্ড ব্লক
কলকাতা:

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি  বিরোধী জোটে নিজেদের অবস্থান কী হবে তা  নিয়ে  চিন্তায় রাজ্যের বাম নেতারা। একটা সময়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে  জোট করার  ক্ষেত্রে  অগ্রণী ভূমিকা  নিত বাম দলগুলি। অতীতে বহুবার কেন্দ্রের সরকার ঠিক  করার ক্ষেত্রে বড়  ভূমিকাও নিয়েছে তারা। বাম এবং অনান্য দলের পছন্দের নেতা  হিসেবে কংগ্রেসের সমর্থন  নিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগও পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসু। কিন্তু  দলের আপত্তিতে  সেটা শেষমেশ হয়ে ওঠেনি। এরপর ২০০৪ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রথম  ইউপিএ সরকারকে  বাইরে থেকে সমর্থন করেছে  সিপিএম –সহ বাম দল গুলি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা  ভিন্ন। আসন জয়ের সম্ভবনা  কম থাকায় শেষমেশ বামেরা জোটের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা  নিয়ে সন্দেহ আছে পুরোমাত্রায়।

  ম্যানচস্টারের ভিক্টোরিয়া স্টেশনে এক পুলিশ কর্মী সহ ছুরিকাহত তিন

 

সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য তথা  প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংখ্যা  যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা  নিয়ে  সন্দেহের কোনও কারণ নেই। এখন সংসদে আমাদের শক্তি যেখানে এসে ঠেকেছে সেখান থেকে  নির্ণায়ক ভূমিকায় যাওয়া  কার্যত অসম্ভব। সাংসদ সংখ্যা  যত বেশি হয়   ততই প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব । আমরা শুধু বলতে পারি এটুকু শক্তি  নিয়েও আমরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবো।

অন্যদিকে বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক  সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা  রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণময় নন্দ মনে করেন  জাতীয় রাজনীতিতে বামেদের ভুমিকা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে  পড়েছে। একটা সময় আঞ্চলিক দলগুলি  নিয়ন্ত্রণ করত বামেরা। এখন আর সেদিন নেই। বামেদের মধ্যে তেমন  নেতৃত্বও আর নেই। তবে বামফ্রন্টের কোনও কোনও শরিক যেমন সিপিআই মনে  করে এখনও বামেদের প্রাসঙ্গিকতা  বজায় আছে। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে বিকল্প নীতিকে সামনে  রেখে লড়তে হবে। ফরওয়ার্ড ব্লকের আবার দাবি কংগ্রসের  সঙ্গে সখ্যতা  না রেখে ভোটে একা লড়লেই ভাল জায়গায়  পৌঁছতে পারবে বামেরা।                                                  

.