This Article is From Jul 25, 2019

বাংলার রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের হাত ধরছে বামফ্রন্ট

সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলার রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের হাত ধরছে বামফ্রন্ট

সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ রাজ্যে একটি বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী জোট গড়ার আহ্বান জানান

কলকাতা:

সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজনীতিতে এখন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়া বিরোধী দল হিসাবে খুব দ্রুত উঠে আসছে বিজেপি (BJP)। অথচ প্রায় ৩ দশক ধরে বাংলা শাসনের পর রাজ্যে ক্রমশই নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে বামেরা। তাই এবার বঙ্গীয় রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরতে চাইছে বামফ্রন্ট (Left Front)। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ক্ষমতা হারায় বামেরা। কিন্তু তারপর থেকে বিরোধী আসনে নিজেদের জমি শক্ত করার বদলে ক্রমশই রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে তারা, আর অন্যদিকে বাংলায় ক্রমশই নিজেদের পদ্মের ডাঁটি শক্ত করেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মোট ৪২ টি আসনের মধ্যে একটি আসনও নিজেদের লাল ঝুলিতে ভরতে পারেনি বামেরা। এ রাজ্যে মাত্র ৭ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করতে পেরেছে তাঁরা।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন রাজ্যের অন্য আরেকটি ক্ষয়িষ্ণু দল কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইছে বামেরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly polls) নিজেদের হারানো জমি কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করতে “হাত”-এর শক্তিতে “কাস্তে হাতুড়ি”-তে শান দিতে চাইছেন বামপন্থীরা। রাজ্যের ওই নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্যে কংগ্রেস ও বামেদের পারস্পরিক সমঝোতা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

“কাট মানি” ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা, একযোগে বিক্ষোভ সিপিআই(এম)-কংগ্রেসের

সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra) এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও (Assembly polls) কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল, কিন্তু তাতেও তাঁরা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। রাজ্য বিধানসভার ২৯৪ টি আসনের মধ্যে একা তৃণমূল কংগ্রেসই দখল করেছিল ২১১ টি আসন এবং ৪৪.৯১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তাঁরা।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

২০১৬-এ (Assembly polls) ২৯৪ আসনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস আর বাকি আসন সিপিআই(এম)ও বামেদের জোটসঙ্গীদের জন্যে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারপরেও দেখা যায় কংগ্রেস যেখানে ৪৪ টি আসনে জয় পেয়েছে সেখানে বামেরা মাত্র ৩২ টি আসন নিজেদের দখলে নিতে পেরেছে। তবে শতাংশের হিসাবে রাজ্যের ২০ শতাংশ ভোট পায় বামেরা, যেখানে কংগ্রেস পায় ১৩ শতাংশ ভোট।

ওদিকে গেরুয়া দল ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly polls) তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আসনে জয়লাভ করে, যদিও মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি।

এদিকে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র (Somen Mitra) বলেন, "আমরা তৃণমূল ও বিজেপির সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে যৌথ আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। বামপন্থীদের সঙ্গে আরও যৌথ আন্দোলন হবে। আমরা আশা করি, জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য এই যৌথ আন্দোলনের মাধ্য়মেই উভয় পক্ষকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে"।

লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাটপাড়া। এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র জানান যে, আগামী ২৬ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার বাম ও কংগ্রেসের নেতারা ভাটপাড়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাবেন। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.