কলকাতা: কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনায় পথে নামল সিপিএম সহ বাম দলগুলি। কৃষক সভার ডাকে গোটা দেশজুড়েই জেল ভরো কর্মসূচি হল। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বামেদের এই আইন অমান্য কর্মসূচিকে ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে মালদা, রায়গঞ্জ সহ কয়েকটি জায়গায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আক্রান্ত হন বাম কর্মী- সমর্থকরা। ধর্মতলায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ, দুপক্ষের মধ্যে ধাকাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।
কলকাতার কর্মসূচিতে অংশ নেন বামফ্রন্ট চেযারম্যান বিমান বসু ও সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সূর্যকান্ত। পুলিশের অভিযোগ আন্দোলনকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়েছে। তবে অশান্তি খুব একটা বড় আকার ধারণ করেনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাম কর্মী সমর্থকদের আটক করে পুলিশ। শুধু বাংলা নয় দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালিত হয়।
মোদী সরকারের আমলে কৃষকদের আন্দোলন নতুন কিছু নয়। মাত্র কয়েক মাস আগে মুম্বাই শহরে বিরাট মিছিল হয়। খালি পায়ে হাজার হাজার কৃষক সেদিন পা মিলিয়েছিলেন। এক প্রকার বাধ্য হয়ে তাঁদের দাবি মেনে নেয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। তাছাড়া কৃষিক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন অংশে ধর্মঘটও হয়েছে গত কয়েক মাসের মধ্যে।
এবার ফের একবার হল আন্দোলন। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং কৃষক সংগঠনের অভিযোগ মানতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির প্রায় সব নেতাই বলছেন কৃষকদের জন্য কাজ করেছে কেন্দ্র।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)