This Article is From Mar 28, 2019

অ্যান্টি স্যাটেলাইট অবশিষ্টাংশের মারাত্বক প্রভাব নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে এমন অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্রগুলি অন্য বস্তুর সাথে সংঘর্ষের ফলে ধ্বংসাবশেষের একটি মেঘ তৈরি করে

অ্যান্টি স্যাটেলাইট অবশিষ্টাংশের মারাত্বক প্রভাব নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

শানাহান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও ক্ষেপণাস্ত্রের ফলাফল নিয়ে গবেষণা করছে

হাইলাইটস

  • আমেরিকা জানাচ্ছে, মিসাইলের অবশিষ্টাংসের প্রভাব মারাত্মক
  • শানাহান জানিয়েছেন, আমেরিকা ভারতের এই পরীক্ষার পর্যালোচনা করছে
  • ১৯৫৯ সালে এমন পরীক্ষা প্রথম করে আমেরিকা
মায়ামি:

বুধবার ভারত অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র পরীক্ষা করেছে মহাকাশে। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব প্যাট্রিক শাহানান (U.S. Defense Secretary Patrick Shanahan) ভারত সহ সকল দেশকে অ্যান্টি স্যাটেলাইট (ASAT) অস্ত্র পরীক্ষা চালানো নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই পরীক্ষার (anti-satellite weapons tests) ফলে যে ধ্বংসাবশেষ (debris) তৈরি হবে তা মহাবিশ্বে অদ্ভুত জটিলতা তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ডের সফরকালে ফ্লোরিডাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শানাহান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও ক্ষেপণাস্ত্রের ফলাফল নিয়ে গবেষণা করছে, আর ভারত বলছে নিজস্ব একটি উপগ্রহ লঞ্চ করেছে তাঁরা। 

মহাকাশে ভারতের সাফল্য প্রসঙ্গে চিন কী বলল?

শানাহান বলেন, “আমার বার্তা হ'ল: আমরা সবাই মহাবিশ্বে বাস করি, এটাকে ওলোট পালোট না করলেই ভালো! স্পেস এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত যেখানে আমাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারি। স্পেস এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের নিজের কাজ পরিচালনা করার স্বাধীনতা থাকবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে এমন অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্রগুলি (anti-satellite weapons) অন্য বস্তুর সাথে সংঘর্ষের ফলে ধ্বংসাবশেষের একটি মেঘ (cloud of fragments) তৈরি করে, যেটা অন্য বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে পারে, একের পর এক (chain reaction of projectiles through Earth orbit) বিপত্তি সৃষ্টি করতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার মিসাইল পরীক্ষার ধ্বংসাবশেষ থেকে ঝুঁকির পরিমাণ যে কম সে কথা ঘোষণা করে বলেছে, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের মধ্যে প্রভাব পড়েছে এবং অবশিষ্টাংশ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েই পতিত হবে। 

মিশন শক্তির সাফল্য নিয়ে বিশিষ্টদের টুইটের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভ ইস্টবার্ন বলেছেন, “মার্কিন সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র কমান্ড ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে ২৫০ টিরও বেশি ধ্বংসাবশেষকে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ না করা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি দিতেই থাকবে।”

নতুন দিল্লি সরকার এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সাধারণত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই রয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন। ইস্টবার্ন জানিয়েছেন, ভারত লঞ্চের আগে প্রকাশ্যে একটি বিমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা জারি করেছে। ইউএস এয়ার ফোর্স স্পেস কমান্ডের ভাইস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডেভিড থম্পসন (Lieutenant General David Thompson, vice commander of U.S. Air Force Space Command) বলেছেন, ওই সময়ে স্পেস স্টেশনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না।

নাসার প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন (NASA chief Jim Bridenstine) বুধবার গৃহ অনুমোদন কমিটির সাক্ষ্যে বলেন যে, অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্র পরীক্ষার ফলাফলগুলি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি ভারতের নামোল্লেখ না করেই বলেন, “আমরা যদি স্পেস ধ্বংস করে ফেলি, তবে আমরা তা ফেরত পাব না।”

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত এই ধরনের অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্র (anti-satellite weapons) ব্যবহার করা চতুর্থ দেশ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৫৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম অ্যান্টি স্যাটেলাইট পরীক্ষা চালায়। যখন কৃত্রিম উপগ্রহ বিষয়টাই বিরল এবং নতুন ছিল।

শানাহান উল্লেখ করেছেন যে, যে হারে মহাকাশের উপর বৈশ্বিক নির্ভরতা ক্রমবর্ধমান হয়েছে, তাতে স্পেসের জন্য রাস্তার নিয়ম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, “আমি মনে করি সন্নিবেশের নিয়মগুলি নিয়ে চিন্তা না করাটা উদ্বেগজনক। সুতরাং, কিভাবে মানুষ পরীক্ষা করছে এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ পরীক্ষা করতে পারে, কিন্তু আমি আশা করব যে তাঁরা অন্য কারো সম্পদকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে না।"



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.