Visakhapatnam Gas Leak: শত শত মানুষকে আশেপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র
হাইলাইটস
- অন্ধ্রে গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃত্য়ু হল কমপক্ষে ৯ জনের
- অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু মানুষ
- লকডাউনের কারণেই রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি ছিল, মনে করছে পুলিশ
নয়া দিল্লি: অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দর নগরী বিশাখাপত্তনমের (Visakhapatnam) যে রাসায়নিক কারখানা (LG polymers gas leak) থেকে গ্যাস লিক করে আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, জানিয়েছে প্রশাসন ও কেমিক্যাল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ। এই গ্যাস লিকের (Visakhapatnam Gas Leak) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০০-রও বেশি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানা গেছে, গ্যাস লিকের ঘটনায় গোটা এলাকাটাই প্রায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই স্থানীয় শত শত বাসিন্দাকে আশেপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র। বিশাখাপত্তনম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের মালিক দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাটারি নির্মাতা এলজি কেমিক্যাল লিমিটেডের তরফে বলা হয়েছে, "কীভাবে ওই গ্যাস লিক হল এবং এর জেরে কতজনের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।"
অসম্ভব চোখ জ্বলছে, সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট! অসুস্থ হয়ে বহু মানুষ ভর্তি ভাইজাগের হাসপাতালে
বিশাখাপত্তনম সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার জানিয়েছেন, আশপাশের গ্রামগুলি তখন ভোররাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সেই সময় হঠাৎ করে ওই বিষাক্ত গ্য়াস ছড়াতে শুরু করে। গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুর কর্পোরেশনের কমিশনার শ্রীজানা গুমল্লা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, দেশ জুড়ে জারি থাকা লকডাউনের বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করার পরেই কয়েকদিন আগে এই প্ল্যান্টটি পুনরায় চালু করা হয়।
কীভাবে গ্যাস লিক হয়েছে সে ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর বিশাখাপত্তনামের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্বরূপ রানি জানান, "লকডাউন হওয়ার কারণে সেখানে একসঙ্গে প্রচুর গ্যাস মজুত ছিল। এর থেকেই একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং ট্যাঙ্কগুলির মধ্যে প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই গ্যাস লিক হয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়"।
"প্রত্যেকের সুরক্ষার জন্যে প্রার্থনা করছি": গ্যাস লিকের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর টুইট
যদিও বিশাখাপত্তনমের ওই প্ল্যান্টের মালিক এলজি চেম জানিয়েছেন যে লকডাউনের কারণে ওই প্ল্যান্টটি বন্ধই ছিল না, কিন্তু তার ভিতরে প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে কিছু কর্মী ছিলেন। "এটা সত্যি যে লকডাউনের কারণে ওই কারখানাটি বন্ধ ছিল, ভিতরে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরাই শুধু ছিলেন", ওই সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন একথা। "নাইট শিফ্টের এক কর্মীই প্রথম গ্যাস লিকের ঘটনাটি টের পেয়ে সকলকে জানান"।