ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জনের।
নয়াদিল্লি: অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের একটি কেমিক্যাল প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস (LG Polymers gas leak) নির্গত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জনের। উদ্ধারকারী দল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতর থেকে অচেতন মানুষদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। NDTV-কে অন্ধ্রপ্রদেশের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। গৌতম সাওয়াং নামের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃত ন'জনের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে মাথা ঘুরে কুয়োর মধ্যে পড়ে যাওয়ায়। ‘এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড'-এ ওই গ্যাস নির্গত হওয়া শুরু হয় রাত আড়াইটে নাগাদ। খবর পেয়ে গ্রামে ছুটে গেলে উদ্ধারকারীরা দেখতে পান রাস্তার উপরে মানুষ অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন।
কেমিক্যাল প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়ে মৃত কমপক্ষে ১১ জন, অসুস্থ বহু
ওই কেমিক্যাল প্ল্যান্ট পলিস্টাইরিন তৈরি করে বলে সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে। পলিস্টাইরিন পাখার ব্লেড, কাপ, পাত্র ইত্যাদি নানাবিধ বস্তু তৈরিতে কাজে লাগে। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত স্টাইরিন অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ এবং একে পোড়ালে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গ্যাস শরীরে প্রবেশ করলে বমি বমি ভাব ও মাথাঘোরা শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
লকডাউনের কারণেই অবহেলা? আর তার জেরেই গ্যাস লিকের ঘটনা? মনে করছে পুলিশ
সিওল থেকে সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাত্রির শিফটে থাকা এক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী একটি ট্যাঙ্কের গায়ে ছিদ্র আবিষ্কার করেন। দেশব্যাপী লকডাউনেক কারণে প্ল্যান্টের কাজ বন্ধ ছিল।
বিশাখাপত্তনমের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার স্বরূপ রানি জানিয়েছেন, ‘‘লকডাউনের কারণেই ওই গ্যাস নির্গমনের ঘটনা ঘটেছে। আসলে কোনও একটা রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় ট্যাঙ্কের ভিতরে। সেই কারণেই গ্যাস বেরনোর ঘটনাটি ঘটেছে।'' তিনি জানাচ্ছেন, স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভোর সাড়ে তিনটের সময় পুলিশে খবর দেন। তিনি জানাচ্ছেন, যেভাবে বাতাসে গ্যাস মিশতে শুরু করে দিয়েছিল কারও পক্ষেই কয়েক মিনিটের বেশি ওখানে থাকা মুশকিল।
সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, লকডাউনের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও প্ল্যান্টের ভিতরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কয়েকজন ছিলেন।