হাইলাইটস
- লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সেলিব্রিটি ক্যান্ডিডেট নুসরৎ জাহান
- তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী
- ‘বাড়ি, সিনেমা ও রাজনীতি এক সঙ্গেই ভালোভাবে সামলাতে পারবো’, বলেন নুসরৎ
কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সেলিব্রিটি ক্যান্ডিডেট নুসরৎ জাহানের (Nusrat Jahan) কাছে রাজনীতিতে পা রাখাটা আসলে বাড়ির কাজের মতোই একটা কাজ। তিনি জানিয়েছেন, এই নতুন ভূমিকার জন্য তাঁর সিনেমার কেরিয়ার কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি খুব ভালোভাবেই দু'টি দায়িত্বে ভারসাম্য রেখে কাজ করতে পারবেন।
নুসরৎ বলেন, ‘‘বাড়ি সামলানো এবং সিনেমার শুটিং করা এই দুটো কাজই ছিল এতদিন ধরে আমার ফুল টাইম জব। এ বার আমার মনে হয় মানুষের জন্য কাজ করার সময়। যে কোনও দুটো বিষয়কেই একসঙ্গে সামলানো কিছুটা কঠিন হয়, কিন্তু অসম্ভব হয় না। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরে এমন কথাই বলেন নুসরৎ।
শুধু মিমি, নুসরত নয় চোখ ধাঁধানো তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ৪১ শতাংশই মহিলা এবার
আঠাশ বছর বয়সী অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘তরুণ প্রজন্ম এখন জীবনের কঠিনতম কাজগুলিকেও যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারে।'' যে ভাবে তিনি নিজের বাড়ি এবং সিনেমার কেরিয়ার সামলাচ্ছেন, তার পরে এই নতুন কর্তব্যও তিনি ভালভাবেই আগলাতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী।
‘‘আমরা যখন কোনও সিনেমার শুটিং শুরু করি, প্রথমে একটু নার্ভাস লাগে। তার মানে এই নয় যে রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আমি খানিকটা নার্ভাস। তবে হ্যাঁ, এটা একটা বড় দায়িত্ব ঠিকই। এই দায়িত্ব আমাকে পূরণ করতেই হবে।''— বললেন সৃজিত মুখার্জীর ‘জুলফিকার' সিনেমার অভিনেত্রী নুসরৎ।
নিজের সুবিধামতো ভোটের সূচি তৈরি করেছেন মোদীবাবুঃ মমতা
নুসরতের মতে, ‘‘মানুষ এত দিন আমার সিনেমা ভালোবেসেছেন। এ বার আমার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়া এবং কর্তব্যে অবিচল থাকা।''
নাগরিকদের জন্য কি কোনও বার্তা রয়েছে? জবাবে নুসরৎ বলেন, ‘‘এখন শুধু এটুকুই প্রত্যাশা করবো, আমি যখন মানুষের জন্য কাজ করব তারা যেন আমার পাশে থাকেন। ঠিক যে ভাবে এত দিন তারা আমার সিনেমার পাশে থেকেছেন।''
নুসরৎ বিশ্বাস করেন না যে, একজন অভিনেতার অভিনয় জীবনকে শেষ করে দিতে পারে রাজনীতি অথবা অভিনেতার জীবনের ব্যস্ত শিডিউল থেকে বেশ কয়েকটা দামি ঘন্টাকেও রাজনীতি কেড়ে নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘এগুলো প্রায় ২৫ বছর পুরনো সব ধারনা। তরুণ প্রজন্ম প্রত্যেকটা উন্নয়নের বিষয়ে সচেতন, তাই এ ধরনের ধারণা আজকাল অচল। আমার সিনেমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে বলে আমি রাজনীতিতে ঢুকছি তেমনটা তো ঘটেনি।''
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)