সম্ভবত এটা ব্লু-আইস (ছবি প্রতীকী)
কয়েকদিন আগে কানাডার এক শহরের বাসিন্দারা দাবী করলেন মে মাসে দুইবার আকাশ থেকে মানুষের বিষ্ঠা ঝরে পড়েছে। এক মহিলা এবং তাঁর ছেলে দাবী করেন একবার তাঁদের গাড়ির উপরিভাগের খোলা অংশ দিয়ে বিষ্ঠা পরে তাঁদের ঢেকে দিয়েছিল।
সুসান অ্যালান এবং তাঁর ছেলে গত 9ই মে ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার কেলোউনা অঞ্চল দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা সিগনালে দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ির দরজার কাঁচ নামানো ছিল এবং গাড়ির উপরিভাগ খোলা ছিল। “বিষ্ঠা আমাদের ঢেকে দিয়েছিল”, ভ্যাঙ্কোভার সান-কে তিনি জানান। “আকাশ থেকে বিষ্ঠা পরছিল এবং আমার আমার মুখ মাথা সব ঢেকে দিয়েছিল”।
দা গার্ডিয়ান-কে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি ভেবেছিলেন চটচটে বাদামী পদার্থটা হয়তো মাটির দলা।
পরক্ষণেই তাঁরা উদ্ভট গন্ধ টের পান।
মিস অ্যালেন গার্ডিয়ান-কে আরও জানান, “গন্ধের জন্য এটা বিষ্ঠাই মনে হয়েছিল। তবে ওতে ক্লোরিনের গন্ধও ছিল। অদ্ভুত দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।“
ভ্যাঙ্কোভার সানের রিপোর্ট অনুসারে, তাঁর গাড়ির ভিতরে পুরো অংশ ওই বাদামী তরল পদার্থে ভরে যায়।
গ্লোবাল নিউজ তরফে জানানো হয়, তারপর তাঁরা গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিকটবর্তী গাড়ি পরিষ্কার কেন্দ্রে গিয়ে গাড়ি এবং নিজেদের পরিষ্কার করেন। পরের দিন সকালে উঠে মিস অ্যালেন বুঝতে পারেন তাঁর কঞ্জাংটিভাইটিস হয়েছে।
ঘটনার তিনদিন পর কেলোউনার ওপর এক বাসিন্দা সকালে উঠে তাঁর গাড়ির ওপর একইরকম বাদামী তরল পদার্থ ছড়িয়ে থাকতে দেখেন। তিনি আশপাশের অঞ্চলের গাড়ির ওপরেরও একই অবস্থা দেখতে পান। “খুবই দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল”, গ্লোবাল নিউজ-কে মিস্টার ইয়েটস জানান। তিনি বলেন, “আমি প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। সারাদিন ঘেঁটে ছিলাম এবং পরে আশপাশের অন্যান্য ঘটনা জানার পর আমি আমার মাথা থেকে চিন্তা বাদ দিতে পেরেছিলেম।“
কানাডার বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, ট্রান্সপোর্ট কানাডা জানিয়েছে তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছে।
মানুষের বর্জ্যপদার্থ বিমানের সিউয়েজ ট্যাঙ্কে লিকেজের জন্য কখনও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে- ট্রান্সপোর্ট কানাডা একথা জানিয়েছে।
বিমানের বর্জ্য পদার্থে গন্ধ এবং পচন কমাতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তাকে “ব্লু আইস” বলে। সিবিসি রেডিও তাদের বক্তব্যে এই ঘটনার জন্য ব্লু আইস-কে দায়ী করেছে।
Click for more
trending news