রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ করেচেন অমিত শাহ।
New Delhi: রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (CAB) পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই বিল পাস করানোর ব্যাপারে বিজেপি (BJP) আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছে। এদিকে কংগ্রেস উচ্চ কক্ষে দলীয় সমস্ত সদস্যকে এদিন উপস্থিত থাকার নির্দেশনামা জারি করেছে। দেশব্যাপী এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস। সমস্ত রাজ্যে দলের সভাপতিদের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়ে দিয়েছেন নিজেদের রাজ্যে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি আপনাদের অনুরোধ করছি বুধবার রাজ্যের সদর দফতরগুলিতে বিলের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসতে।''
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হয় ৩১১-৮০ ভোটে।
এই বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশকারীরা যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে লাইভ আপডেট
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল প্রেরণে সংসদীয় প্যানেল গড়তে রাজ্যসভায় ভোট
অমিত শাহ বলেন, ''বিএসপি সাংসদ আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কেন ডেডলাইন ২০১৪ সাল রাখা হয়েছে। আমরা প্রথম ২০১৫ সালে বিলটা পেশ করেছিলাম। সেই কারণেই ডেডলাইন ২০১৪।''
''পাকিস্তান ও কংগ্রেস নাগরিকত্ব বিল নিয়ে একই ভাষায় কথা বলছে'': অমিত শাহ
অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, ''পাকিস্তান ও কংগ্রেস নাগরিকত্ব বিল নিয়ে একই ভাষায় কথা বলছে। পাকিস্তান যে বিবৃতি দিয়েছে কংগ্রেসও আজ একই ভাষায় কথা বলেছে। দেখে নিন গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কী বলেছেন। এবং দেখুন আজ কংগ্রেস নেতারা কী বলেছেন।''
মহারাষ্ট্র জানতে চায় কেন শিবসেনা তাদের অবস্থান রাতারাতি বদলাল: অমিত শাহ
রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, ''শিবসেনা লোকসভায় বিলটি সমর্থন করেছে। কেবল আমরাই নই, মহারাষ্ট্রের মানুষও জানতে চায় কেন রাতারাতি তারা অবস্থান বদলাল।''
অমিত শাহ ২০০৫ সালে লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবযতির প্রসঙ্গ তোলেন। যেখানে মমতাকে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে বলতে দেখা গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গ ওঠার পর সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যসভা।
অমিত শাহ আরও বলেন, ''যখন চিদাম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে হিন্দু ও শিখ শরণার্থীদের ব্যাপারে চিঠি লেখা হয়েছিল। কংগ্রেস ওই দুই ধর্মের ১৩ হাজার মানুষকে অনুমতি দিয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কেননা কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ। কতদিন ধরে মানুষকে বোকা বানাবেন? আমি সংখ্যালঘুদের বলতে চাই, তাঁরা এখানে পুরোপুরি নিরাপদ। আমরা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেব না। কী করে এটা ভারতীয় মুসলিমদের প্রভাবিত করবে। আমরা তাদের এত সম্মান করি। এটা কেবল ওই সব দেশ থেকে আসা সংক্যালগুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়।''
''আমাদের কাজ দেশের সমস্যার সমাধান করা। 'দিল্লি সমঝোতা'র পর সংবিধান তৈরি হয়। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান- তিন দেশেরই ধর্ম ইসলাম। আমরা ৬টি ধর্মের মানুষদের আনার কথা বলেছি। মানুষ জানতে চাইছেন মুসলিমদের নয় কেন। এই দেশগুলিতে মুসলিমরা সংখ্যালঘু নয়। কী করে তাঁরা সেখানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হবেন, যেখানে দেশগুলির ধর্মই ইসলাম। সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে যে তাঁরা দেশের ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় নিপীড়েনের শিকার হলেন। সেক্ষেত্রে আমরা মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেব। ৫০০-র বেশি মুসলিমদের গত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদি জমানায় ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং মুসলিমদেরও সুযোগ থাকবে নাগরিকত্বের আবেদন করার।'' অমিত শাহ জানালেন রাজ্যসভায়।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ঐতিহাসিক ভুল সংশোধনের জন্য: অমিত শাহ
''মনে রাখবেন, যখন আপনারা হাসছেন, কোটি কোটি মানুষ আপানদের হাসতে দেখছেন তাঁদের অবস্থা নিয়ে। এই বিল ঐতিহাসিক ভুল সংশোধনের জন্য।'' রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল রাজনৈতিক বিষয় নয়: অমিত শাহ
আগামীকাল কোনও নির্বাচন নেই। এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। আমরা দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলছি। কতদিন পর্যন্ত আমরা এটা নিয়ে কথা বলব না। হাসাহাসি খারাপ নয়, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখছেন আমরা তাঁদের সমস্যাগুলি নিয়ে হাসাহাসি করছি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। আর তাই এই বিল পেশ করা হয়েছে।
রাজ্যসভায় অমিত শাহ: ৫০ বছর আগে এই বিল আনা হলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না