LIVE Updates: নয়াদিল্লি, মুম্বই ও হায়দরাবাদের চিকিৎসকরাও সাড়া দিয়েছেন বাংলার চিকিৎসকদের প্রতিবাদে।
নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) চিকিৎসকদের (Doctors) নিগ্রহের প্রতিবাদে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে নয়াদিল্লি, মুম্বই ও হায়দরাবাদের চিকিৎসকরাও সাড়া দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের চিকিৎসকরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর আত্মীয়দের হাতে এক জুনিয়র চিকিৎসকের নিগ্রহের পরে ওই ধর্মঘট শুরু হয়। AIIMS-এর মেডিক্যাল সুপারিটেন্ডেন্ট ডিকে শর্মা জানিয়েছেন, ‘‘এমার্জেন্সি পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা এমার্জেন্সি পরিষেবা দেবেন অন্যদিনের মতোই।'' জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। গত চার দিন ধরে বহু সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এমার্জেন্সি ওয়ার্ড, আউটডোর, প্যাথলজিক্যাল বিভাগের মতো পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিষেবাও বহুলাংশে ব্যাহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মঘটে সামিল চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দেন চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফেরার। তিনি হুমকি দেন, এই নির্দেশ মেনে না চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন হাসপাতাল চত্বর খালি করে দিতে। রোগীরা ছাড়া আর কাউকেই ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন।
রইল ভারত জুড়ে চিকিৎসকদের প্রতিবাদের লাইভ আপডেট
সিনিয়র চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, মাখন লাল সাহা, অভিজিৎ চৌধুরী, অলকেন্দু ঘোষ নির্মল মাজি ও কুমার ডাক্তারের ধর্মঘটের বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজ্য সচিবালয়ে নবান্নে পৌঁছেছেন।
পশ্চিম বাংলায় সরকার চালিত হাসপাতালগুলিতে ৩০০ জন চিকিৎসক পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন।
ডাক্তারদের ধর্মঘটের বিষয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সাড়া দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৭ দিন সময় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, এই অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল? আদালতে আরও বলেছে, রাজ্যকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেদন জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়!
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় 'ভুল বোঝাবুঝি সরিয়ে' শুক্রবার চতুর্থ দিনে প্রবেশ করা আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানান। ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডাক্তারদের সকল অভিযোগ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, "আমি আমার অল্পবয়সী বন্ধুদের কাছে ভুল বোঝাবুঝি মেটাতে এবং কাজে ফিরে আসার জন্য আবেদন জানাতে চাই। আমাদের জনগণের উপর বিশ্বাস হারানো উচিৎ না। আমিও ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম এবং এখন একটি পদে নিযুক্ত হওয়ার পরেও বিশ্বাস করি যে জনসাধারণের পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যেই কাজ করা উচিত। ঠিক যেমন আপনাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন, তেমনি রোগীদেরও চিকিত্সার প্রয়োজন। আমি আপনাদের সকলের কাছে এটি বিবেচনা করার জন্য আবেদন করব।"
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি একজন ডাক্তারির ছাত্র, শুক্রবার সরকারি হাসপাতালের প্রতিবাদী ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালেন।
বাংলার ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপরে হওয়া হামলার প্রতিবাদে গত চারদিনে ধরে ধর্মঘটে বসেছেন বাংলার চিকিৎসকরা। তাঁদের সমর্থনে সারা দেশের চিকিৎসকরা সোমবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। আজ বিভিন্ন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজ বয়কট করেছেন, যার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বাংলায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তাঁকে বলেছেন এটাকে ''মর্যাদার ইস্যু'' না বানাতে। তিনি সারা দেশের চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার তাঁদের ''নিরাপত্তা দিতে দায়বদ্ধ''। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তবে তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন।
BREAKING: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association) দেশভর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১৭ জুন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ''আমরা বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি যখন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবে যাই, তখন তাদের ভাষাতেই আমি কথা বলি। বাংলায় থাকতে হলে বাংলাতেই কথা বলতে হবে। আমি সেই অপরাধীদের সহ্য করব না, যারা বাংলায় থাকবে আর বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াবে।''
কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের হাসপাতালগুলিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের উপরে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিতে রাজি হল না। আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে চিকিৎসকদের বুঝিয়ে কাজে ফেরাতে।
আজ আর. জি. কর মেডিকেল কলেজের ১৬ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র বাংলাতেই কথা বলতে হবে। এখানে হিন্দি চলবে না। তিনি কোনও বহিরাগতদের এখানে স্থান দেবেন না।