This Article is From Apr 17, 2020

"বিপর্যস্ত পান চাষ! ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করুক সরকার", আবেদন চাষিদের

অভিযোগ, "যারা ফড়ে তাঁরা এই বিপর্যয়ে মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। আর হাড়ির হাল পান চাষিদের।"

লকডাউনের জেরে প্রভাবিত পান চাষ। তাই এবার সাহায্য চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ পান চাষিরা। (ছবি প্রতীকী)

হাইলাইটস

  • ন্যুনতম সহায়ক মূল্য দাবি করে সরকারের দ্বারস্থ রাজ্যের পান চাষিরা
  • লকডাউনে বিপর্যস্ত চাষ। বিপন্ন প্রায় এক লক্ষ পরিবার, দাবি তাঁদের
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনা সবচেয়ে বেশি পান চাষ করে। তারপর নদিয়া ও দুই মেদিনীপুর
কলকাতা:

লকডাউনের  জেরে প্রভাবিত পান চাষ। তাই এবার সাহায্য চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ পান চাষিরা (Bengal Betel farmers)। উৎপাদনের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বা এমএসপি নির্ধারণ করতে রাজ্যের কাছে আর্জি জানাল তাঁরা। সরকারি এক সূত্র বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে রাজ্যের মোট পান উৎপাদনের ৫০% আসে। বাকি শতাংশ উৎপাদন হয় নদিয়া আর দুই মেদিনীপুর জেলায়। এই বিষয়ে সারা বাংলা পান চাষি সমিতির সচিব কার্তিক দাস পিটিআইকে বলেছেন, "এই বিপর্যয়ের (Lockdown) জেরে পান চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় এক লক্ষ পরিবার বিপন্ন। আমাদের হিসেবে চলতি সহায়ক মূল্য বেশ কম। তাই আমরা অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের মুখাপেক্ষী।" তাঁর দাবি, "১৫০০ পান পাতা মাত্র ২০০ টাকায় আমরা বিক্রি করি। যা বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম।" তাছাড়া আমাদের থেকে পাইকারি বাজার অত্যাধিক কমিশন নিয়ে থাকে। কাকদ্বীপ বাজারে ৯% কমিশন দিতে হয় পান চাষিদের। সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজারের হিসেবে সেই কমিশন ধার্য করা হোক। পিটিআইয়ের কাছে এই দাবি করেছেন সেই সংগঠনের সচিব।

করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে ৬.২ দিনে, লকডাউনের আগে লাগত ৩ দিন

তাঁর অভিযোগ, "যারা ফড়ে তাঁরা এই বিপর্যয়ে মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। আর হাড়ির হাল পান চাষিদের।" বেশিরভাগ রাজ্যে মুখশুদ্ধি হিসেবে পান ব্যবহার করা হয়। বাঙালি বিয়ে কিংবা অন্য আচারে ভোজের পর পান আবশ্যিক। এদিকে, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাজারে ভিড় করা চলবে না। বেরোতে হবে মাস্ক পরে। লকডাউনের নিয়ম মান্য না করলে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নামানো হবে বলে শুক্রবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিশেষ করে রেড জোনের ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি। এদিন তিনি জানিয়ে দিলেন, নিয়ম না মানলে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নামানো হবে হাওড়া, কলকাতার রেড জোনে। শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন। তবে জানিয়ে দিলেন আধা সেনা মোতায়েন করার কোনও প্রয়োজন নেই। বাজারে ভিড় না কমলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

Coronavirus: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,০৭৬ জন, মৃত ৩২

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে হাওড়া অত্যন্ত স্পর্শকাতর জেলা। অত্যন্ত স্পর্শকাতর উত্তর ২৪ পরগনাও। বৈঠকে এই কথা জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত রেড জোনকে দু'সপ্তাহের মধ্যে অরেঞ্জ জোন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলেন, রাজ্যের চতুর্থ হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত পূর্ব মেদিনীপুর এরই মধ্যে অরেঞ্জ জোন হয়ে গিয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.